English Literature, Made Simple in Bangla
Unlock Shakespeare, Poetry, Essays, and Classic Novels — explained clearly in Bangla, so every student can learn with confidence.

About Porivasa
Learn English Literature in Your Own Language
We provide English department students with easy access to Bangla summaries, explanations, and critical analyses of poems, plays, novels, and essays. Our aim is to make complex literary texts simple and approachable, helping you prepare for exams while developing a deeper understanding of literature with clarity and confidence.
Alongside study materials, we also provide guides and suggestions tailored for Honours and Masters students, ensuring you stay focused, well-prepared, and exam-ready.

The Greatest Authors and the Stories They Gave the World
-
Abraham Lincolnআব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি ১৮৬১ সাল থেকে ১৮৬৫ সালে তার হত্যার আগপর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। লিংকন তার নেতৃত্বের মাধ্যমে আমেরিকাকে নৈতিক, সাংস্কৃতিক, সাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক সংকট থেকে উদ্ধার করেন। তিনি দাসপ্রথা বিলোপ, ইউনিয়ন সংরক্ষণ, এবং মার্কিন অর্থনীতির আধুনিকীকরণে সফল হন। দারিদ্র্যের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেও স্ব-শিক্ষিত হয়ে তিনি আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। নতুন রিপাবলিকান পার্টির নেতা হিসেবে লিংকন ১৮৬০ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজয়ী হন এবং দক্ষিণের দাসপ্রথার সমর্থকদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন।লিংকনের জীবন ও কর্মের মধ্য দিয়ে তিনি আমেরিকান ইতিহাসে অন্যতম সেরা রাষ্ট্রপতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে তার নেতৃত্বে তিনি দক্ষিণের বিদ্রোহ দমন করেন এবং ইউনিয়ন পুনরুদ্ধার করেন। তার ঐতিহাসিক গেটিসবার্গের ভাষণ প্রজাতন্ত্রবাদ, সম অধিকার, স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের পক্ষে উচ্চারণ করে। দাসপ্রথার বিলোপে তিনি মুক্তির ঘোষণা দেন এবং সেনাবাহিনীতে প্রাক্তন দাসদের অন্তর্ভুক্তির আদেশ দেন। লিংকনের মৃত্যুর পরও তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহীদ নায়ক হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন এবং ধারাবাহিকভাবে আমেরিকান ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিবেচিত হন।
-
Alfred Tennysonলর্ড আলফ্রেড টেনিসন (৬ আগস্ট ১৮০৯ – ৬ অক্টোবর ১৮৯২) ছিলেন ১৯ শতকের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজ কবি। তিনি রোমান্টিক ও ভিক্টোরিয়ান যুগের কবি হিসেবে পরিচিত এবং তাঁর কাজগুলি তৎকালীন সময়ের অন্যতম প্রভাবশালী। তাঁর বিখ্যাত কবিতাগুলির মধ্যে রয়েছে "ইন মেমোরিয়াম", "ইউলালিয়ান", এবং "ইউনিট"।টেনিসন সমের্স্বি, লিংকনশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা, জর্জ ক্লেটন টেনিসন, গির্জার রেক্টর ছিলেন এবং তার মা, এলিজাবেথ ফ্যৎচ, একটি সনামধন্য পরিবার থেকে আসেন। টেনিসন এবং তার দুই ভাই কবিতা চর্চা করতেন এবং একটি কবিতার সংকলন প্রকাশ করেন যেটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক পরিচিতি পায়।তিনি ১৮৩৩ সালে রানী ভিক্টোরিয়া দ্বারা কবি বিজয়ী মনোনীত হন এবং ১৮৪২ সালে "ইউনিট" মহাকাব্য প্রকাশ করেন, যা ইংরেজি সাহিত্যের ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত হয়। টেনিসন তাঁর জীবনব্যাপী ধ্যানে মগ্ন থাকতেন এবং তাঁর কবিতা ও লেখায় তার প্রতিফলন ঘটেছে। ব্রিটিশ সমাজে তার কবিতার প্রভাব আজও উল্লেখযোগ্য।
-
Andrew Marvellমারভেল সেই প্রকৃতি চেতনার কবি। প্রেমের কবি। সৌন্দর্যের কবি। প্রকৃতির কবি। শহুরে সভ্যতার যন্ত্রণাকাতর যন্ত্রজীবন ছেড়ে ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় পল্লী প্রান্তরই তাঁর কবিতার চারণ ভূমি। তবে প্রকৃতিপ্রীতির পাশাপাশি তাঁর কবিতায় স্বদেশানুভূতি, ধর্মতত্ত্ব, প্রেম-বিরহ, হিউমার, আয়রনী, উইট এসবও উঠে এসেছে নিপুণ পরিচর্যায়। এই প্রতিভাধর কবি মারভেল জন্মগ্রহণ করেন ১৬২১ সালের ৩১শে মার্চ, লন্ডনের ইয়র্কশায়ারে। তার বাবা ছিলেন পাদ্রী। মারভেল ছিলেন বাবা মায়ের প্রথম ছেলে এবং পরিবারের চতুর্থ সন্তান। মারভেলের পরে তাঁর আর একটা ভাই মাত্র এক বছর বয়সে মারা গেল। সুতরাং মারভেলই হচ্ছে পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তান। বড় তিন বােন হচ্ছে এ্যানি, মেরী ও এলিজাবেথ। তিন বােনের এক ভাই। বােনদের কোলে কোলে আদরে আদরে বেড়ে উঠেছেন মারভেল। | এই মারভেলই পরবর্তীকালে কন্সটান্টিনােপলে কূটনীতিক হিসেবে কাজ করেন। বন্ধুত্ব অর্জন করেন জন মিলটনের মতাে নামী-দামী কবির। জন মিল্টন এক সময়ে কমনওয়েলথের বৈদেশিক সেক্রেটারি ছিলেন। কিন্তু তাঁর দৃষ্টি শক্তি কমে আসার কারণে মারভেলকে মিলটনের সহকারী নিয়ােগ করা হয় ১৬৫৭ সালে। তাঁর নিজ শহর হাল থেকে তিনি সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন এবং আমরণ তিনি পার্লামেন্টারিয়ান ছিলেন।
-
Anita Desaiঅনিতা দেসাই (জন্ম: ২৪ জুন, ১৯৩৭) একজন প্রখ্যাত ভারতীয় ঔপন্যাসিক এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি'র মানবিক বিষয়ের এমারিতা জন.ই বর্হার্ড অধ্যাপক। তিনি তার উপন্যাস 'ফায়ার অন দি মাউন্টেন' এর জন্য ১৯৭৮ সালে সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার এবং 'দি ভিলেজ বাই দ্যা সি' এর জন্য ব্রিটিশ গার্ডিয়ান পুরস্কার অর্জন করেছেন। জার্মান মা এবং বাঙালি পিতার কন্যা হিসেবে তিনি ভারতের মুসৌরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ইংরেজি সাহিত্যে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন। তার প্রথম উপন্যাস 'ক্রাই দ্য পিকক' ১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হয় এবং তার জনপ্রিয় উপন্যাসগুলোর মধ্যে 'ইন কাস্টডি' এবং 'ফাস্টিং, ফেস্টিং' উল্লেখযোগ্য। অনিতা দেসাই শিক্ষকতা করেছেন মাউন্ট হোলোক কলেজ, বারুক কলেজ এবং স্মিথ কলেজে। তার উপন্যাস 'ইন কাস্টডি' ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত হয় এবং এটি ১৯৯৪ সালে শ্রেষ্ঠ ছবির জন্য স্বর্ণপদক লাভ করে।
-
Ben Jonsonবেন জনসন (মূলত বেঞ্জামিন জনসন /ˈdʒɒnsən/; খ্রি. জুন ১১, ১৫৭২ – আগস্ট ৬, ১৬৩৭) ছিলেন সপ্তদশ শতকের একজন ইংরেজ নাট্যকার, কবি, এবং সাহিত্য সমালোচক, যার শিল্পকর্ম ইংরেজি কবিতা এবং মঞ্চ কমেডির উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। তিনি হিউমার কমেডি জনপ্রিয় করে তোলেন। তিনি তার গীতি কবিতাসমূহ এবং এভরি ম্যান ইন হিজ হিউমার (১৫৯৮), ভোলপনে, অর দ্য ফক্সি (১৬০৫), দ্য এ্যলকেমিস্ট (১৬১০), এবং বর্থলময় ফেইরি: অ্য কমেডি (১৬১৪) বিদ্রুপাত্মক নাটকের জন্যে সর্বাধিক পরিচিত। তিনি সাধারণত জেমস ১-এর রাজত্বকালে, উইলিয়াম শেকসপিয়রের পরে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজ নাট্যকার হিসেবে গণ্য হন। silent Women ও তার লেখা একটি বই
-
Charles Dickensচার্লস জন হাফ্যাম ডিকেন্স (ইংরেজি: Charles John Huffam Dickens; জন্ম: ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮১২ – মৃত্যু: ৯ জুন, ১৮৭০) ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ ঔপন্যাসিক। তাকে ভিক্টোরিয়ান যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক হিসেবে মনে করা হয়। ডিকেন্স জীবদ্দশাতেই তার পূর্বসূরি লেখকদের তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। মৃত্যুর পরও তার জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ণ থাকে। তার প্রধান কারণ হচ্ছে, ডিকেন্স ইংরেজি সাহিত্যে প্রবাদপ্রতিম বেশ কয়েকটি উপন্যাস ও চরিত্র সৃষ্টি করেছিলেন।তার অধিকাংশ রচনাই পত্র-পত্রিকায় মাসিক কিস্তিতে প্রকাশিত হত। এই পদ্ধতিতে রচনা প্রকাশকে জনপ্রিয় করে তোলার পিছনেও ডিকেন্সের কিছু অবদান আছে। অন্যান্য লেখকগণ ধারাবাহিক কিস্তি প্রকাশের আগেই উপন্যাস শেষ করতেন, কিন্তু ডিকেন্স কিস্তি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী অধ্যায়গুলি রচনা করে যেতেন। এই পদ্ধতিতে উপন্যাস রচনার ফলে তার উপন্যাসগুলির গল্পে একটি বিশেষ ছন্দ দেখা যেত। অধ্যায়গুলির শেষটুকু হত রহস্যময়, যার জন্য পাঠকেরা পরবর্তী কিস্তিটি পড়ার জন্য মুখিয়ে থাকত। তার গল্পগ্রন্থ ও উপন্যাসগুলি এতই জনপ্রিয় যে এগুলি কখনই আউট-অফ-প্রিন্ট হয়ে যায়নি।
-
Charlotte Brontëশার্লট ব্রন্টি (ইংরেজি: Charlotte Brontë; ২১ এপ্রিল ১৮১৬ - ৩১ মার্চ ১৮৫৫) ছিলেন একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও কবি। তিনি ব্রন্টি বোনদের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ ও প্রাপ্ত বয়স পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। তার উপন্যাসগুলো ইংরেজি সাহিত্যের ধ্রুপদী সাহিত্যকর্ম হিসেবে খ্যাতি লাভ করে।১৮৩১ সালের জানুয়ারি মাসে ১৪ বছর বয়সে শার্লট রো হেডে বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি পরের বছর তার দুই বোন এমিলি ও অ্যানকে শিক্ষাদানের জন্য বাড়ি ফিরে আসেন এবং ১৮৩৫ সালে গৃহশিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৩৯ সালে তিনি সিজউইক পরিবারের গৃহশিক্ষিকার দায়িত্ব নেন, কিন্তু কয়েক মাস পর তিনি হাওয়ার্থে ফিরে আসেন যেখানে তার বোনেরা একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে, কিন্তু তার শিক্ষার্থী সংগ্রহে ব্যর্থ হয়। এর পরিবর্তে তারা লেখনী শুরু করেন এবং ১৮৪৬ সালে তারা যথাক্রমে কুরার, এলিস এবং অ্যাক্টন বেল ছদ্মনামে তাদের প্রথম কাজ প্রকাশ করেন। শার্লটের প্রথম উপন্যাস দ্য প্রফেসর প্রকাশকদের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয় এবং তার দ্বিতীয় উপন্যাস জেন আইয়ার ১৮৪৭ সালে প্রকাশিত হয়। এই বোনেরা ১৮৪৮ সালে তাদের বেল ছদ্মনাম উন্মোচন করেন এবং পরের বছর লন্ডন লিটারেরি সার্কেলের সাথে যোগ দেন।শার্লটের বাকি বোনেরা অল্প বয়সে মারা যান। তিনি ১৮৫৪ সালের জুন মাসে বিয়ের কিছুদিন পর অন্তঃসত্ত্বা হন এবং ১৮৫৫ সালের ৩১শে মার্চ গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব ও বমিজনিত হাইপারমেসিস গ্র্যাভিডারামে রোগে মারা যান।
-
Chinua Achebeচিনুয়া আচিবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ই নভেম্বর। ১৯৯০ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছিলেন চিনুয়া। এরপর তিনি প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় কোনো বই লেখেননি। সুদীর্ঘ ১৯ বছর তিনি বার্ড কলেজে ভাষা এবং সাহিত্যের অধ্যাপনা করেছেন। পরবর্তীকালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে আফ্রিকা-বিষয়ক গবেষণামূলক কাজের অধ্যাপনাও করেছেন। চাকরি জীবনে তিনি নাইজেরিয়ার ব্রডকাস্ট সার্ভিসে কাজ শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে লেখালেখি শুরু করেন।
-
Christopher Marloweক্রিস্টোফার মার্লো (ইংরেজি: Christopher Marlowe; ব্যাপ্টিজম ২৬ জানুয়ারি, ১৫৬৪ – ৩০ মে, ১৫৯৩) ছিলেন এলিজাবেথীয় যুগের একজন ইংরেজ নাট্যকার, কবি ও অনুবাদক। মার্লো ছিলেন তার সময়কার প্রধান এলিজাবেথীয় ট্রাজেডিয়ান। মার্লোর সমবয়সী উইলিয়াম শেকসপিয়র মার্লোর লেখালিখি থেকে বিশেষভাবে প্রভাবিত হন। মার্লোর রহস্যময় অকালমৃত্যুর পর শেকসপিয়র এলিজাবেথীয় থিয়েটারে তার আসনটি গ্রহণ করেন। মার্লোর নাটকের বৈশিষ্ট্য হল অমিত্রাক্ষর ছন্দের ব্যবহার ও অতি-আত্মবিশ্বাসী নায়কে চরিত্রায়ন।১৫৯৩ সালের ১৮ মে মার্লোর নামে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এটি জারি করার কোনো কারণ দর্শানো হয়নি। তবে মনে করা হয় যে, মার্লো একটি পাণ্ডুলিপিতে কিছু "অনৈতিক ধর্মদ্রোহী ধারণা"র কথা লিখেছিলেন। সেই সূত্রে তার বিরুদ্ধে ঈশ্বরদ্রোহিতার যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তার সঙ্গে এই গ্রেফতারি পরোয়ানার যোগসূত্র ছিল। ২০ মে প্রিভি কাউন্সিলের সামনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আদালতে আনা হয়। তাদের সেই দিনকার জিজ্ঞাসাবাদের কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি। যদিও জানা যায় যে, তাকে যতদিন না প্রিভি কাউন্সিল অন্যরকম কোনো আদেশ দিচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত রোজ কাউন্সিলের সামনে উপস্থিত থাকতে আদেশ দেওয়া হয়েছিল। দশ দিন পরে ইনগ্রাম ফ্রিজারের ছুরির আঘাতে তার মৃত্যু ঘটে। তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে গ্রেফতারির কোনো যোগ ছিল কিনা, তাও জানা যায় না।
-
David Herbert Lawrenceডেভিড হারবার্ট রিচার্ডস লরেন্স (১১ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৫ – ২ মার্চ, ১৯৩০), যিনি ডি. এইচ. লরেন্স নামে পরিচিত, ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন প্রখ্যাত ইংরেজ লেখক, কবি, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক এবং সাহিত্য সমালোচক ছিলেন। তাঁর রচনাবলি আধুনিকায়ন ও শিল্পায়নের ফলে মানবিক অবক্ষয় এবং মানসিক স্বাস্থ্য, স্বাভাবিকতা ও যৌন প্রবণতার গুরুত্বের ওপর গভীরভাবে আলোকপাত করেছে। লরেন্সের অন্যতম বিখ্যাত উপন্যাস "লেডি চ্যাটার্লীর লাভার" তৎকালীন সমাজে অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত ছিল এবং এটি তাঁর সাহিত্যিক কর্মজীবনে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।লরেন্সের মতামত তাকে অনেক শত্রু উপহার দিয়েছিল এবং তিনি সরকারি হয়রানি ও সেন্সরশিপের শিকার হয়েছিলেন। জীবনের দ্বিতীয়ার্ধে তিনি স্বেচ্ছা-নির্বাসনে চলে যান, যা তাঁর ভাষায় "বর্বর তীর্থযাত্রা" ছিল। মৃত্যুর সময় তাঁর প্রতি সম্মান অনেকটা বিতর্কিত ছিল, তবে পরে তাঁর সৃষ্টিশীলতা ও সাহিত্যিক অবদানকে ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রভাবশালী সমালোচকরা লরেন্সের সাহিত্যকে ইংরেজি উপন্যাসের মহৎ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বিবেচনা করেছেন, যদিও কিছু নারীবাদী লেখক তাঁর কাজের প্রতি আপত্তি জানিয়েছেন। আজ লরেন্সকে এক সত্যদ্রষ্টা দার্শনিক ও আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি হিসেবে সম্মানিত করা হয়।
-
Dylan Thomasডিলান টমাস, পূর্ণ নাম ডিলান মারলিয়াস থমাস্ তিনি ওয়েলস প্রদেশীয় কবি এবং লেখক যার কবিতার মধ্যে একটি হল "Do not go gentle into that good night" এবং "And death shall have no dominion";যেসকল গল্প ও নাটকে তিনি তার কন্ঠ দিয়েছেন Under Milk Wood;এছাড়াও রেডিও সম্প্রচারেও তার কন্ঠ দেওয়া হয়েছে যেমন "A Child's Christmas in Wales" এবং Portrait of the Artist as a Young Dog.তার জীবদ্দশায় তিনি যতটা বিখ্যাত ছিলেন তার ৩৯ বছর বয়সের অকাল মৃত্যুর পরও তার সেই খ্যাতি রয়ে গেছে । সেই সময় তার খ্যতি অর্জনের জন্য তাকে "ভীষণ, উন্মাত ও ধবংসাত্মক কবি" নামে আখ্যায়ীত করা হয়। তিনি ৩৯ বছর বয়সে নভেম্বর মাসে নিউ ইউর্ক শহরে মারা যান।
-
Edmund Spenser১৫৫২ সালে এডমন্ড স্পেনসার লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার লিংকনশায়ার থেকে লন্ডনে এসেছিল। ১৫৬১ সালে স্পেনসার মার্চেন্ট টেইলরস বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৫৬৯ সালে প্রেমশুক হল ক্যামব্রিজ থেকে গ্রাজুয়েট হন এবং ক্যামব্রিজ থেকেই ১৫৭৬ সালে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৫৬৯ সালে তাঁর প্রথম প্রকাশনা Anonymous’-এর অনুবাদ প্রকাশিত হয়। ১৫৯৫ সালে তাঁর Amoretti and Epithalamion শিরােনামে বিখ্যাত সনেটগুচ্ছ প্রকাশিত হয়। ১৫৯৪ সালের জুন মাসে এলিজাবেথ বয়লি নামের এক সুন্দরী নারীর সাথে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের মধ্যে Colin Clout's Come Home Againe (1595), Four Hymns (1596), The Faeire Queene বিশেষ উল্লেখযােগ্য। পেত্রার্কীয় সনেটের অনুসরণে প্রেমবিষয়ক সনেট রচনা করে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে খ্যাতিমান হয়ে আছেন।
-
Elizabeth Barrett Browningএলিজাবেথ ব্যারেট ব্রাউনিং (৬ মার্চ ১৮০৬ – ২৯ জুন ১৮৬১) ছিলেন ভিক্টোরিয়ান যুগের একজন বিশিষ্ট ইংরেজ কবি, যিনি জীবদ্দশায় ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম নারীবাদী গবেষণার মাধ্যমে ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে নতুন করে আলোচনায় আসে এবং ইংরেজি সাহিত্যে নারী লেখকদের স্বীকৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এলিজাবেথের জন্ম কাউন্টি ডারহামে, যেখানে তিনি ১২ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ ছিলেন। মাত্র এগারো বছর বয়স থেকেই তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন এবং তাঁর মায়ের সংরক্ষিত সংগ্রহটি ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম বৃহৎ শিশুতোষ সাহিত্য হিসেবে পরিচিত। পনেরো বছর বয়সে তিনি গুরুতর অসুস্থতায় আক্রান্ত হন এবং সারা জীবন মাথা ও মেরুদণ্ডে তীব্র ব্যথা অনুভব করতেন। পরবর্তীতে তিনি ফুসফুসের সমস্যায়ও ভুগতে শুরু করেন, যা সম্ভবত যক্ষ্মা ছিল। তিনি ব্যথা প্রশমনের জন্য লডানাম গ্রহণ করতেন, যা তাঁর স্বাস্থ্যের দুর্বলতার একটি কারণ হতে পারে।
-
Emily Dickinsonএমিলি এলিজাবেথ ডিকিনসন (১০ই ডিসেম্বর, ১৮৩০ - ১৫ই মে, ১৮৮৬) ছিলেন একজন বিখ্যাত মার্কিন কবি, যিনি তার জীবদ্দশায় খুব কমই পরিচিত ছিলেন, তবে মৃত্যুর পর মার্কিন কবিতার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্মরণীয় হয়ে উঠেছেন। ডিকিনসন ম্যাসাচুসেটসের অ্যামহার্স্ট শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং একাকী, নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করেছেন। তিনি কখনো বিয়ে করেননি এবং তার জীবনের শেষ সময়টা সম্পূর্ণভাবে একাকী কাটান।ডিকিনসন তার জীবনে প্রায় ১৮০০টি কবিতা লিখেছিলেন, তবে মাত্র কয়েকটি কবিতা তার জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়েছিল, যা প্রকাশকরা সম্পাদনা করে প্রকাশ করেছিল। তার কবিতাগুলি শিরোনামবিহীন, ছোট বাক্যে সাজানো এবং তির্যক অর্থপূর্ণ ছিল। তার কবিতায় মৃত্যু এবং অমরত্বের ভাব প্রবলভাবে উপস্থিত ছিল। মৃত্যুর পর, তার ছোট বোন লাভিনিয়া তার রচনাগুলির সিংহভাগ খুঁজে পান এবং পরে সেগুলি প্রকাশিত হয়। এমিলি ডিকিনসন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে স্বীকৃত।
-
Ernest Hemingwayআর্নেস্ট মিলার হেমিংওয়ে (২১ জুলাই ১৮৯৯ - ২ জুলাই ১৯৬১) ছিলেন একজন বিশিষ্ট মার্কিন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক, যিনি তার নির্মেদ লেখনী এবং আইসবার্গ তত্ত্বের জন্য বিখ্যাত। তার কাজগুলো বিংশ শতাব্দীর সাহিত্যে গভীর প্রভাব ফেলেছে এবং তিনি ১৯৫৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি সাতটি উপন্যাস, ছয়টি ছোটগল্প সংকলন এবং দুইটি অকল্পিত সাহিত্য গ্রন্থ রচনা করেন, যার মধ্যে "আ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস" এবং "দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী" উল্লেখযোগ্য। হেমিংওয়ে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন এবং পরে ফ্রান্সের প্যারিসে চলে যান, যেখানে তিনি "হারানো প্রজন্ম" লেখকদের দ্বারা প্রভাবিত হন। তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈন্য হিসেবে যুদ্ধ করেন এবং তার অভিজ্ঞতা তার লেখার জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। জীবনের শেষের দিকে আফ্রিকার সাফারি ভ্রমণের সময় দুটি বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে শারীরিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকেন, শেষে ১৯৬১ সালে আইডাহোতে আত্মহত্যা করেন। তার জীবনের বিভিন্ন দিক এবং সাহিত্যের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি আজও পাঠকদের মনে স্থান করে আছেন।
-
Francis Baconফ্রান্সিস বেকন একজন প্রযুক্তিবাদী, দার্শনিক, এবং বৈজ্ঞানিক মনোভূমিকায় অগ্রগণ্য ইংরেজ ব্যক্তি ছিলেন, যার জন্ম হয়েছিল ২২ জানুয়ারি, ১৫৬১ সালে লন্ডনের স্ট্রান্ডের নিকট ইয়র্ক হাউজে। তার পিতা ছিলেন স্যার নিকোলাস বেকন, এবং মা ছিলেন অ্যান (কুক) বেকন। ফ্রান্সিস ছিলেন তাদের দ্বিতীয় সন্তান। তার কন্যা, এন্থোনি কুক, একজন খ্যাতনামা মানবতাবাদী ছিলেন।তার প্রাথমিক শিক্ষা হোম স্কুল থেকে শুরু হয়েছিল, তবে তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি বাইরে পড়াশোনা করতেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি গ্রাজুয়েট হন এবং এরপর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনার পর, তিনি ১৫৭৩ সালে ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে প্রবেশ করেন। এই সময়ে তার বড় ভাই এন্থোনি বেকনের সাথে তিন বছর ডক্টর জন হুইটগিফটের অভিভাবকত্বে শিক্ষা গ্রহণ করতেন।
-
Geoffrey Chaucerজিওফ্রে চসার ছিলেন একজন ইংরেজ কবি, লেখক এবং বেসামরিক কর্মচারী যিনি দ্য ক্যান্টারবেরি টেলসের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত । তাকে বলা হয় "ইংরেজি সাহিত্যের জনক", বা বিকল্পভাবে, "ইংরেজি কবিতার জনক"। তিনিই প্রথম লেখক যাকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে পোয়েটস কর্নার বলে সমাহিত করা হয় । চসার একজন দার্শনিক এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন, তিনি তার 10 বছর বয়সী ছেলে লুইসের জন্য বৈজ্ঞানিক A Treatise on the Astrolabe রচনা করেন। তিনি আমলা , দরবারী , কূটনীতিক এবং সংসদ সদস্য হিসাবে সিভিল সার্ভিসে কর্মজীবন বজায় রেখেছিলেন ।
-
George Bernard Shawজর্জ বার্নার্ড শ (২৬ জুলাই ১৮৫৬ – ২ নভেম্বর ১৯৫০) ছিলেন একজন আইরিশ নাট্যকার, সমালোচক, এবং রাজনৈতিক কর্মী। তার সৃষ্টিকর্ম পশ্চিমা মঞ্চনাটক, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি ম্যান অ্যান্ড সুপারম্যান (১৯০২), পিগম্যালিয়ন (১৯১২), এবং সেন্ট জোন (১৯২৩) সহ ষাটের অধিক নাটক রচনা করেছেন, যা তাকে তার প্রজন্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ১৯২৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। শয়ের লেখায় সামাজিক সমস্যাগুলো হাস্যরসের ছদ্মাবরণে তুলে ধরা হয়েছে, এবং তিনি একজন কট্টর সমাজতান্ত্রিক হিসেবে শ্রমজীবী মানুষের শোষণের বিপক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়েছিলেন। তার মতাদর্শ ও প্রকাশ ভঙ্গিকে বর্ণনা করতে "শভিয়ান" শব্দটি ইংরেজি ভাষায় যুক্ত হয়েছে।
-
George Eliotমেরি অ্যান ইভান্স (২২ নভেম্বর ১৮১৯ – ২২ ডিসেম্বর ১৮৮০), যিনি জর্জ এলিয়ট ছদ্মনামে পরিচিত, একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং ভিক্টোরীয় যুগের অন্যতম প্রধান লেখিকা ছিলেন। তিনি তার সাতটি উপন্যাসের মধ্যে 'এডাম বেড', 'দ্য মিল অন দ্য ফ্লস', 'সাইলাস মারনার', 'মিডলমার্চ', এবং 'ডানিয়েল দেরুন্দা' এর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত, যা প্রাদেশিক ইংল্যান্ডের পটভূমিতে রচিত এবং বাস্তববাদ ও মানসিক অন্তর্দৃষ্টির জন্য সুপরিচিত। তার কাজ গুরুত্বের সাথে গ্রহণের জন্য তিনি পুরুষ ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন এবং তার ব্যক্তিগত জীবনকে জনসাধারণের দৃষ্টির বাইরে রাখার জন্যও এটি ব্যবহার করতেন, বিশেষত বিবাহিত জর্জ হেনরি লুইসের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে কেলেঙ্কারি প্রতিরোধের জন্য। তার ১৮৭২ সালের কাজ 'মিডলমার্চ' অনেকের মতে ইংরেজি ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস। তিনি ওয়ারউইকশায়ারের নানইটনে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার প্রাথমিক শিক্ষা সেখানেই সম্পন্ন করেন। মেরি অ্যানের পরিবারে বাবা রবার্ট ইভান্স এবং মা ক্রিস্টিয়ানা ইভান্স সহ আরও বেশ কয়েকজন ভাই-বোন ছিলেন।
-
George Herbertজর্জ হারবার্ট ম্যাটাফিজিক্যাল কবিদের একজন এবং ম্যাটাফিজিক্যাল কবিতার জনক জন ডান (১৫৭২-১৬৩১) এর সমসাময়িক। ১৫৯৩ সালের ৩রা এপ্রিল জর্জ হারবার্ট জন্মগ্রহণ করেন মন্টগােমারি ক্যাসল, ইংল্যান্ডে। হারবার্টরা ছিলেন দশ ভাইবােন, সাত ভাই এবং তিন বােন। ভাইদের মধ্যে জর্জ হারবার্ট ছিলেন পঞ্চম। আর তাদের পরিবারটি ছিল খুব সম্ভ্রান্ত পরিবারগুলাের মধ্যে একটা। তার মা ম্যাগডলেন ছিলেন সুশিক্ষিতা রমণী। মায়ের জীবন দর্শন ও শিক্ষার প্রভাব পড়েছিল জর্জ হারবার্টের জীবনে। তার সাতটা ছেলেকেই পড়ালেখা করালেন। উল্লেখ্য যে, জর্জ হারবার্টের জন্মের মাত্র তিন বছর পর অর্থাৎ ১৫৯৬ সালে তার বাবা মারা গেলেন। হারবার্টের বাবা মারা যাওয়া সত্ত্বেও তার মা তাদের লেখাপড়ার প্রতি অমনােযােগী ছিলেন না।
-
George Orwellএরিক আর্থার ব্লেয়ার (জুন ২৫, ১৯০৩ - জানুয়ারি ২১, ১৯৫০) একজন কালোত্তীর্ণ ইংরেজ সাহিত্যিক ও রাজনৈতিক লেখক। অবিভক্ত ভারতের বাংলা প্রদেশের মতিহারিতে জন্ম হয়েছিল তার। বিশ্ব সাহিত্য অঙ্গনে তিনি জর্জ অরওয়েল ছদ্মনামে সমধিক পরিচিত। তার দুটি উপন্যাস - এনিমেল ফার্ম ও নাইন্টিন এইটি-ফোর - বিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থের তালিকায় স্থান পেয়েছে। তিনি আজীবন স্বৈরাচার ও একদলীয় মতবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। রিচার্ড ওয়ামেসলে ব্লেয়ার ও ইদা মাবেল লিমুজিন দম্পতির একমাত্র সন্তান অরওয়েল মাত্র ৪৬ বছর বয়সে যক্ষ্মারোগে মৃত্যুবরণ করেন।জীবন শৈশব ও কৈশোর এরিক আর্থার ব্লেয়ার ১৯০৩ সালের ২৫ জুন ব্রিটিশ ভারতের বাংলার মতিহারিতে একটি সুখী 'নিম্ন-উচ্চ-মধ্যবিত্ত' পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রপিতামহ চার্লস ব্লেয়ার ডরসেটের জ্যামাইকান প্ল্যান্টেশনের অনুপস্থিত মালিক ছিলেন। অরওয়েলের পিতা ছিলেন রিচার্ড ওয়ালমেসলে ব্লেয়ার, যিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের আফিম বিভাগে সাব-ডেপুটি আফিম এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন, চীনে বিক্রির জন্য আফিম উৎপাদন ও মজুত করার তত্ত্বাবধান করতেন। তার মা, ইডা মেবেল ব্লেয়ার (নি লিমুজিন), বার্মার মৌলমেইনে বেড়ে ওঠেন। এরিকের দুই বোন: মার্জোরি, পাঁচ বছরের বড়; এবং এভ্রিল, পাঁচ বছরের ছোট। এরিক যখন এক বছর বয়সে, তার মা তাকে এবং মার্জোরিকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যান। এরিক তার মা এবং বোনদের সাথে বেড়ে ওঠেন এবং ১৯০৭ সালের মাঝামাঝি একবার ছাড়া, তিনি ১৯১২ সাল পর্যন্ত তার বাবাকে দেখেন নি। পাঁচ বছর বয়সী, এরিককে হেনলি-অন-টেমসের একটি কনভেন্ট স্কুলে ডে-বয় হিসাবে পাঠানো হয়েছিল। তার মা তাকে পাবলিক স্কুলে পড়াতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার পরিবার ফি বহন করতে সক্ষম হয় নি। তার মামা চার্লস লিমুজিনের মাধ্যমে, ব্লেয়ার সেন্ট সাইপ্রিয়ানস স্কুল, ইস্টবোর্ন, ইস্ট সাসেক্সে বৃত্তি লাভ করেন। ১৯১১ সালের সেপ্টেম্বরে এসে তিনি পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য স্কুলে থাকেন, শুধুমাত্র স্কুল ছুটির সময় বাড়িতে ফিরতেন। যদিও তিনি হ্রাসকৃত ফি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না, তবে তিনি শীঘ্রই বুঝতে পারলেন যে তিনি একজন দরিদ্র ঘর থেকে এসেছেন।
-
Henry David Thoreauহেনরি ডেভিড থরো (ইংরেজি: Henry David Thoreau; ১২ই জুলাই, ১৮১৭ – ৬ই মে ১৮৬২) একজন মার্কিন প্রকৃতিবাদী, নিবন্ধকার, কবি ও দার্শনিক ছিলেন। তিনি একজন শীর্ষস্থানীয় তুরীয়বাদী। তাঁর ওয়াল্ডেন নামক গ্রন্থে তিনি প্রাকৃতিক পরিবেশে সরল জীবনযাপনের উপরে তাঁর চিন্তাধারা প্রকাশ করেন। আর সিভিল ডিজোবিডিয়েন্স ("নাগরিক অবাধ্যতা") শীর্ষক নিবন্ধে (আদিতে যেটি রেজিস্ট্যান্স টু সিভিল গভার্নমেন্ট অর্থাৎ "নাগরিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ" শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল) তিনি অন্যায্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবাধ্যতা প্রদর্শনের স্বপক্ষে যুক্তি প্রদান করেন। এই দুইটি রচনাকর্মের জন্য তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন।
-
James Joyceজেমস অগাস্টিন অ্যালওসিয়াস জয়েস (২ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮২ - ১৩ জানুয়ারি, ১৯৪১) ছিলেন একজন প্রখ্যাত আইরিশ লেখক, কবি এবং সাহিত্য সমালোচক। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী লেখক হিসেবে পরিচিত, তিনি আধুনিকতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ "ইউলিসিস" (১৯২২), যেখানে হোমারের "ওডিসি"র বিভিন্ন পর্বকে বৈচিত্র্যময় সাহিত্যিক শৈলীতে তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে "ডাবলিনারস" (১৯১৪) গল্প সংকলন, "অ্যা পোর্টেট অব দ্য আর্টিস্ট এস অ্যা ইয়াং ম্যান" (১৯১৬) এবং "ফিনেগ্যানস ওয়েক" (১৯৩৯) অন্তর্ভুক্ত। ডাবলিনের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া জয়েস তাঁর জীবনকাল অনেক সময় বিদেশে কাটিয়েছেন, তবে তাঁর সাহিত্যিক কাজগুলো সাধারণত ডাবলিন শহরকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে, যেখানে তিনি নিজের পরিবারের সদস্য, বন্ধু এবং শত্রুর চরিত্রগুলো উপস্থাপন করেছেন। তাঁর সৃষ্টিশীলতায় অভ্যন্তরীণ মনোলগ, শব্দকল্পনা এবং পারম্পরিক কাহিনী ও চরিত্র উন্নয়নের নতুনত্ব প্রকাশ পেয়েছে। জয়েসের জীবনে আর্থিক অস্থিরতা, ব্যক্তিগত সংগ্রাম এবং পারিবারিক টানাপোড়েন ছিল, যা তাঁর লেখার উপজীব্য। ১৯৪১ সালে সুইজারল্যান্ডে তিনি মৃত্যুবরণ করেন, কিন্তু তাঁর রচনা আজও সাহিত্য জগতে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে।
-
Jane Austenজেন অস্টেন (ইংরেজি: Jane Austen) (১৬ ডিসেম্বর, ১৭৭৫ – ১৮ জুলাই, ১৮১৭) একজন মহিলা ইংরেজ ঔপন্যাসিক, যিনি মূলত তাঁর ছয়টি প্রধান উপন্যাসের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। তার উপন্যাসগুলি মূলত আঠারো শতকের শেষভাগে ইংরেজ ভূস্বামীকেন্দ্রিক সমাজকে উপজীব্য করে রচিত। সমাজে উপযুক্ত স্থানলাভ এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য নারীদের বিবাহের উপর নির্ভরশীলতা অস্টিনের বেশির ভাগ উপন্যাসের মূল আখ্যান। আঠারো শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ভাবপ্রধান উপন্যাসের বিরুদ্ধ প্রতিক্রিয়াস্বরূপ তার রচনাগুলিকে ঊনিশ শতকের ক্রান্তিলগ্নে উদ্ভূত বাস্তব নির্ভর সাহিত্য শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তার রচনায় তীক্ষ্ণ প্রহসনের সাথে সাথে তার বাস্তববোধ, হাস্যরস এবং সামাজিক পর্যালোচনা তাকে সমালোচক, বিদ্বান এবং অনুরাগী পাঠকদের মাঝে স্বমহিমায় উপস্থাপন করেছে।
-
John Donneসমাজ পরিবার ও ব্যক্তি বিধৃত জীবনকে শুধুমাত্র উচ্ছ্বসিত ভাবাবেগের পরিবর্তে মূখ্যত বুদ্ধিসচেতন, বিশ্লেষণধর্মী, দার্শনিক মনােভঙ্গি নিয়ে উপলব্ধির প্রয়াস জন ডান-এর অভিষ্ট লক্ষ্য ছিল। জীবনের হতাশা নিরাশা, ধূসর ভবিষ্যতের ঊষর মরুতে বিচরণ না করে তিনি জীবনকে তৃণে-শস্যে, ফুলেফসলে সফল দেখতে চান। আর এই মানসে তিনি প্রত্যয়ী, পরিশ্রমী। তাঁর প্রত্যয়ী মনােভাব তাঁকে পৌছে দিয়েছে খ্যাতির উচ্চাসনে। তিনি আবিষ্কার করলেন স্বতন্ত্র কাব্যধারা। ম্যাটাফিজিক্যাল’ কবিতা।
-
John Keatsজন কিটস (অক্টোবর ৩১, ১৭৯৫-ফেব্রুয়ারি ২৩, ১৮২১) ইংরেজি সাহিত্যের একজন রোম্যান্টিক কবি। লর্ড বায়রন ও পার্সি বিশি শেলির সাথে সাথে তিনিও ছিলেন দ্বিতীয় প্রজন্মের রোমান্টিক কবিদের একজন। তার মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তার সৃষ্টিগুলো প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সমালোচকদের দৃষ্টিতে তার কবিতা খুব একটা উচ্চ মর্যাদা পায়নি। তার মৃত্যুর পর তার কবিতাগুলো সঠিক মূল্যায়ন পেতে শুরু করে এবং উনিশ শতকের শেষ দিকে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় ইংলিশ কবির স্বীকৃতি পান। পরবর্তীকালের অসংখ্য কবি ও সাহিত্যিকের ওপর তার প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। হোর্হে লুইস বোর্হেসের মতে, কিটসের লেখার সাথে প্রথম পরিচয় তার সাহিত্যিক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
-
John Millington Syngeএডমান্ড জন মিলিংটন সিং (১৬ এপ্রিল ১৮৭১ - ২৪ মার্চ ১৯০৯) ছিলেন একজন আইরিশ নাট্যকার, কবি, লেখক এবং লোককাহিনী সংগ্রাহক, যিনি আইরিশ সাহিত্য পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার সবচেয়ে পরিচিত নাটক দ্য প্লেবয় অব দ্য ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড (১৯০৭) গ্রামীণ আয়ারল্যান্ডের জীবনের চিত্রায়ন এবং প্যারিসাইডের আদর্শীকরণের কারণে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল, যা ডাবলিনে দাঙ্গার সৃষ্টি করে। তিনি ডব্লিউ বি ইয়েটস এবং লেডি গ্রেগরির সাথে অ্যাবে থিয়েটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সিংয়ের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে ইন দ্য শ্যাডো অব দ্য গ্লেন (১৯০৩), রাইডার্স টু দ্য সি (১৯০৪), এবং দ্য ওয়েল অব দ্য সেন্টস (১৯০৫) অন্তর্ভুক্ত। তার লেখাগুলি প্রধানত গ্রামীণ আয়ারল্যান্ডের শ্রমিক-শ্রেণির ক্যাথলিকদের জীবন নিয়ে, যাদের তিনি একটি পৌত্তলিক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হিসেবে দেখেছিলেন।
-
John Milton১৬০৮ খ্রিস্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের বিখ্যাত কবি জন মিলটনের জন্ম লন্ডন শহরে। তাঁর পিতা ছিলেন পেশায় একজন কারণিক, শিক্ষিত মানুষ ছিলেন তিনি, তার কর্ম ছিল নানা দলিলপত্রাদি তৈরি করা, তিনি সঙ্গীতের প্রতিও অনুরাগী ছিলেন। মিলটনের মা ছিলেন খুবই ধার্মিক ও সৎ মহিলা।বিচিত্র মিলটনের শৈশবকাল। সমাজের আর দশটি ছেলেমেয়ের মতাে তিনি খেলাধূলা হৈ হল্লা মােটই পছন্দ করতেন না। ছােটবেলা হতেই মিলটন ছিলেন গম্ভীর প্রকৃতির, চিন্তাশীল, লেখাপড়ার দিকেই ছিল তার বেশি মনোযােগ। সারাক্ষণ তিনি পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে নিজেকে আটকে রাখতেন এবং তা দেখে কিছু আত্মস্থ করার চেষ্টা করতেন। মােট কথা মিলটন ছিলেন রীতিমতাে পড়ুয়া।
-
John Websterজন ওয়েবস্টার (প্রায় ১৫৭৮ – প্রায় ১৬৩২) ছিলেন একজন ইংরেজ জ্যাকোবিয়ান নাট্যকার, যিনি মূলত তাঁর দুটি ট্র্যাজেডি, দ্য হোয়াইট ডেভিল এবং দ্য ডাচেস অফ ম্যালফি-এর জন্য পরিচিত। এই নাটকগুলো প্রায়ই ১৭শ শতকের ইংরেজি মঞ্চের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসেবে গণ্য করা হয়। ওয়েবস্টারের জীবন সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না এবং তাঁর জন্ম ও মৃত্যু সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানা যায়নি। তাঁর নাট্যকর্মের বেশিরভাগ তথ্যই তাঁর থিয়েট্রিক্যাল কর্মকাণ্ড থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও, তাঁর জীবনের কিছু তথ্য পাওয়া যায় যা ইঙ্গিত দেয় যে তিনি আইন বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন এবং সেই বিষয়ে লেখালেখি করেছেন।
-
Kaiser Haqকায়সার হামিদুল হক (জন্ম: ১৯ ডিসেম্বর ১৯৫০) একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী অনুবাদক ও শিক্ষাবিদ। বাংলা থেকে ইংরেজিতে তার অনুবাদকর্মের জন্য তিনি পরিচিত এবং ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন, তিনি ১৯৮১ সালে ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। বর্তমানে, তিনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারাল আর্টস বাংলাদেশে আধুনিক কবিতা ও সৃজনশীল লেখার শিক্ষকতা করছেন এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন।
-
Katherine Mansfieldক্যাথলিন ম্যান্সফিল্ড মারি (১৪ অক্টোবর ১৮৮৮ - ৯ জানুয়ারি ১৯২৩) ছিলেন একজন নিউজিল্যান্ডের লেখক এবং সমালোচক, যিনি আধুনিকতাবাদের আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। উইলিংটনের থর্নডন অঞ্চলে বেড়ে ওঠা ম্যান্সফিল্ড বিউচাম্প পরিবারের তৃতীয় সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিভিন্ন লেখালেখি, বিশেষ করে ছোট গল্প এবং কবিতার জন্য পরিচিত, যেখানে উদ্বেগ, যৌনতা এবং অস্তিত্ববাদকে নতুন নিউজিল্যান্ডের পরিচয়ের সঙ্গে তুলে ধরেছেন। ১৯ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ড ছেড়ে ইংল্যান্ডে বসবাস করতে যান এবং সেখানে তিনি বিখ্যাত লেখকদের, যেমন ডি. এইচ. লরেন্স এবং ভার্জিনিয়া উল্ফের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। ১৯১৭ সালে তার ফুসফুসের টিউবারকুলোসিস ধরা পড়ে এবং মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ফ্রান্সে তার মৃত্যু ঘটে। ম্যান্সফিল্ডের লেখায় তার ব্যক্তিগত জীবন ও অভিজ্ঞতা গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, বিশেষ করে তার দুই মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক এবং নিউজিল্যান্ডের প্রতি তার মিশ্র অনুভূতি। তার কাজগুলি বিশ্বজুড়ে ২৫টি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে, যা আধুনিক সাহিত্য প্রেমীদের জন্য অত্যন্ত প্রশংসিত।
-
Lord Byronজর্জ গর্ডন বায়রন, ষষ্ঠ ব্যারন বায়রন (২২ জানুয়ারি ১৭৮৮ – ১৯ এপ্রিল ১৮২৪), একজন ব্রিটিশ কবি ও সম্রান্ত বংশীয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি রোমান্টিক আন্দোলনের প্রধান ব্যক্তিত্বদের একজন হিসেবে পরিচিত এবং ব্রিটিশ কবিদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত। তার সুপরিচিত রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে "ডন জুয়ান" এবং "চাইল্ড হ্যারল্ড'স পিলগ্রিমেজ"। এছাড়া তার সংক্ষিপ্ত কবিতা সংকলন "হিব্রু মেলোডিস" ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বায়রন ট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজে শিক্ষালাভ করেন এবং এরপর ইউরোপ ভ্রমণ করেন। ইংল্যান্ডে লিঞ্চিংয়ের হুমকির কারণে তিনি সাত বছর ইতালিতে কাটান। ইতালিতে থাকার সময় তিনি পার্সি বিশি শেলির সাথে বন্ধুত্ব করেন। পরবর্তীতে বায়রন গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধে অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেন এবং গ্রিসের লোকনায়ক হিসেবে সম্মানিত হন। ১৮২৪ সালে, মিসোলঙ্গির অবরোধের সময় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। বায়রনের একমাত্র বৈবাহিক সন্তান অ্যাডা লাভলেস, চার্লস ব্যাবেজের অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনের ভিত্তিতে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের প্রাথমিক পথিকৃতদের একজন। বায়রনের জীবনের প্রথমার্ধে তিনি নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন এবং তার জন্মস্থান এখন জন লুইস ডিপার্টমেন্ট স্টোর দ্বারা দখলকৃত। তার পিতা ক্যাপ্টেন জন বায়রন এবং মাতা ক্যাথারিন গর্ডন। বায়রন পরিবারের ইংল্যান্ডে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং তার পূর্বপুরুষ রালফ ডি বুরান উইলিয়াম দ্য কনকারারের সাথে ইংল্যান্ডে এসেছিলেন।
-
Martin Luther King Jr.মার্টিন লুথার কিং, জুনিয়র (১৫ জানুয়ারি, ১৯২৯ - ৪ এপ্রিল, ১৯৬৮) একজন প্রখ্যাত আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী ছিলেন, যিনি তার খ্রিষ্টীয় ধর্মবিশ্বাস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নাগরিক ও মানবাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। জর্জিয়ার আটলান্টায় জন্মগ্রহণকারী কিং, ১৯৫৫ সালে মন্টগোমারি বাস বয়কটের নেতৃত্ব দেন যা তাকে জাতীয়ভাবে পরিচিত করে তোলে। ১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটনে তার ঐতিহাসিক "আই হ্যাভ এ ড্রিম" ভাষণ দেন, যা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি অহিংস আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং ১৯৬৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন, যা তাকে সর্বকনিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ নোবেল বিজয়ী করে তোলে। কিং ১৯৫৭ সালে সাউদার্ন ক্রিশ্চিয়ান লিডারশিপ কনফারেন্স (SCLC) প্রতিষ্ঠা করেন, যা নাগরিক অধিকার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল, মেমফিসের লরেইন হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থী জেমস আর্ল রে-এর গুলিতে তিনি নিহত হন, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৯ বছর।
-
Nelson Mandelaনেলসন রোলিহ্লাহ্লা ম্যান্ডেলা (১৮ জুলাই ১৯১৮ - ৫ ডিসেম্বর ২০১৩) ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ-বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা, প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি এবং প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি ১৯৯৪-১৯৯৯ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটিশ দক্ষিণ আফ্রিকার এমভেজোতে জন্মগ্রহণ করে, ম্যান্ডেলা ফোর্ট হেয়ার ও ভিটভাটারস্র্যান্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়েন। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে তিনি ২৭ বছর কারাবাস করেন। ১৯৯০ সালে মুক্তি লাভের পর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নেন, যার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৪ সালে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ১৯৯৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারসহ ২৫০টিরও অধিক পুরস্কার পেয়েছেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় "মাদিবা" নামে পরিচিত।
-
Niaz MorshedI am Niaz Morshed, holding a BA Honours and MA in English Literature. As the owner of TranslationBD, I am dedicated to supporting students of English literature by providing comprehensive information and resources. Our website aims to facilitate the study of English literature through detailed content, translations, and insightful analyses. Whether you are seeking to deepen your understanding of literary texts or require assistance with your coursework, TranslationBD is here to guide and support your academic journey.
-
O. Henryউইলিয়াম সিডনী পোর্টার, যিনি ও. হেনরি নামে পরিচিত, একজন প্রখ্যাত আমেরিকান ছোট গল্পকার, যিনি ১৮৬২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নর্থ ক্যারোলিনার গ্রিনসবরোতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আমেরিকান জীবনযাপন নিয়ে ৬০০টিরও বেশি গল্প লিখেছেন, যার মধ্যে "দ্য গিফট অব দ্য ম্যাজাই" বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়। পোর্টার কলেজের পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত হওয়া এই গল্পটির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। তিনি তার কর্মজীবনে একাধিক পেশায় কাজ করেছেন, যার মধ্যে প্রথম জাতীয় ব্যাংকের হিসাবরক্ষক এবং টেক্সাসের সাধারণ ভূমি দপ্তরের ড্রাফটার হিসেবে কাজ করা উল্লেখযোগ্য। একাধিক দুর্ভোগের মুখোমুখি হওয়ার পরও, পোর্টার ১৮৯৫ সালে ব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগের কারণে হন্ডুরাস পালিয়ে যান, পরে তিনি ১৮৯৮ সালে কারাগারে বন্দী হন। তবে সেখানে থেকেই তিনি ১৪টি গল্প প্রকাশ করেন। তার রচনা এবং চিত্তাকর্ষক কাহিনীর জন্য তিনি আজও সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে শ্রদ্ধেয়। ১৯১০ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার লেখাগুলি আজও প্রভাবিত করছে।
-
Oscar Wilde<p data-start="0" data-end="533">অস্কার ফিঙ্গাল ও’ফ্লাহার্টি উইলস ওয়াইল্ড {<b>Oscar Fingal O'Fflahertie Wills Wilde</b>} (১৬ অক্টোবর ১৮৫৪ – ৩০ নভেম্বর ১৯০০) ছিলেন একজন আইরিশ লেখক, কবি ও নাট্যকার। ১৮৮০-এর দশকে বিভিন্ন সাহিত্যের শৈলীতে লিখে তিনি ১৮৯০-এর দশকের শুরুতে লন্ডনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী নাট্যকার হয়ে ওঠেন। অনেকের মতে, তিনি ভিক্টোরিয়ান যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ নাট্যকার। ওয়াইল্ডকে সবচেয়ে বেশি মনে রাখা হয় তাঁর গথিক দার্শনিক উপন্যাস <em data-start="366" data-end="394">The Picture of Dorian Gray</em> (১৮৯০), বুদ্ধিদীপ্ত উক্তি, নাটক, শিশুদের জন্য লেখা গল্প এবং সমকামিতার কারণে ১৮৯৫ সালে “gross indecency” অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য।</p> <p data-start="535" data-end="999">ওয়াইল্ডের বাবা-মা ডাবলিনের অ্যাংলো-আইরিশ বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তরুণ বয়সে তিনি ফরাসি ও জার্মান ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে (ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন ও ম্যাগডালেন কলেজ, অক্সফোর্ড) তিনি শাস্ত্রীয় সাহিত্য ও দার্শনিক চর্চায় অসাধারণ প্রতিভা দেখান। এখানে তিনি নান্দনিকতাবাদ (Aestheticism) আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন, যা ওয়াল্টার প্যাটার ও জন রাস্কিনের দ্বারা প্রভাবিত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় শেষে তিনি লন্ডনে আসেন এবং অভিজাত সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বৃত্তে প্রবেশ করেন।</p> <p data-start="1001" data-end="1521">তিনি নানা সাহিত্যচর্চা শুরু করেন: নাটক লেখেন, কবিতার বই প্রকাশ করেন, আমেরিকা ও কানাডায় “The English Renaissance” বিষয়ক বক্তৃতা দেন এবং পরে লন্ডনে ফিরে মার্কিন সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে বক্তৃতা ও বিভিন্ন পত্রিকায় সমালোচনা লিখতে থাকেন। তাঁর রসিকতা, চমকপ্রদ পোশাক ও বুদ্ধিদীপ্ত কথোপকথনের জন্য তিনি অল্প সময়ে সবার নজর কাড়েন। ১৮৯০-এর দশকের শুরুতে তিনি শিল্পের সর্বোচ্চ স্থান নিয়ে প্রবন্ধ ও সংলাপে মত প্রকাশ করেন এবং বিলাসিতা, প্রতারণা ও সৌন্দর্যের থিমকে একত্রিত করে লেখেন তাঁর একমাত্র উপন্যাস <em data-start="1490" data-end="1518">The Picture of Dorian Gray</em>।</p> <p data-start="1523" data-end="1855">প্যারিসে অবস্থানকালে তিনি ফরাসি ভাষায় <em data-start="1562" data-end="1570">Salome</em> (১৮৯১) নাটকটি লেখেন, তবে ইংল্যান্ডে বাইবেলের চরিত্র মঞ্চস্থ করার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে এটি মঞ্চায়নের অনুমতি পায়নি। তবুও নিরাশ না হয়ে তিনি ১৮৯০-এর দশকের শুরুতে চারটি সমাজভিত্তিক হাস্যরসাত্মক নাটক লেখেন, যা তাঁকে লন্ডনের শেষ ভিক্টোরিয়ান যুগের সবচেয়ে সফল নাট্যকারে পরিণত করে।</p> <p data-start="1857" data-end="2371">যখন তাঁর নাটক <em data-start="1871" data-end="1889">An Ideal Husband</em> (১৮৯৫) ও <em data-start="1899" data-end="1932">The Importance of Being Earnest</em> (১৮৯৫) লন্ডনে সাফল্যের সঙ্গে চলছিল, তখন ওয়াইল্ড জন শল্টো ডগলাস, ৯ম মারকুইস অব কুইনসবেরির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। ডগলাস ছিলেন ওয়াইল্ডের প্রেমিক লর্ড আলফ্রেড ডগলাসের পিতা। মামলার শুনানিতে এমন প্রমাণ বেরিয়ে আসে, যা উল্টো ওয়াইল্ডের বিরুদ্ধে যায় এবং তাঁর সমকামিতার কারণে তাঁরই বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়। প্রথম বিচারে জুরি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, দ্বিতীয় বিচারে ওয়াইল্ড দুই বছরের কারাদণ্ড ও কঠোর শ্রমের শাস্তি পান।</p> <p data-start="2373" data-end="2766" data-is-last-node="" data-is-only-node="">কারাগারে শেষ বছরে তিনি <em data-start="2396" data-end="2410">De Profundis</em> নামক দীর্ঘ পত্র লেখেন, যেখানে তাঁর বিচার ও কারাজীবনের অভিজ্ঞতা ও আত্মোপলব্ধি স্থান পায়। এটি পরে সংক্ষিপ্ত আকারে ১৯০৫ সালে প্রকাশিত হয়। কারাগার থেকে মুক্তির দিনই তিনি ফ্রান্সে চলে যান এবং আর কখনো ব্রিটেন বা আয়ারল্যান্ডে ফিরে আসেননি। ফ্রান্স ও ইতালিতে তাঁর শেষ রচনা <em data-start="2678" data-end="2706">The Ballad of Reading Gaol</em> (১৮৯৮) লিখেছিলেন, যেখানে কারাজীবনের কঠিন বাস্তবতা ফুটে ওঠে।</p>
-
Percy Bysshe Shelleyপার্সি বিশি শেলি (৪ আগস্ট ১৭৯২ – ৮ জুলাই ১৮২২) ছিলেন একজন ইংরেজি কবি, নাট্যকার এবং সাহিত্যিক, যিনি উনিশ শতকের প্রথম দিকের রোমান্টিক আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি হিসেবে বিবেচিত। শেলি সাসেক্সের হরসেমে জন্মগ্রহণ করেন এবং ইটন ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন। অক্সফোর্ডে প্রগতিবাদী লেখক টম পেইন ও উইলিয়াম গডউইনের লেখাসমূহ অধ্যয়ন করার পর, তিনি নাস্তিকতাকে সমর্থন করে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন।তিনি ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম প্রখ্যাত কবি, এবং তার "Ozymandias" ও "ODE TO THE WEST WIND" কবিতাগুলি বিশেষভাবে বিখ্যাত। শেলি মাত্র ত্রিশ বছর বয়সে একটি নৌকা দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।শেলির জীবনকালে তাঁর প্রথম বিয়ে হ্যারিয়েট ওয়েস্টব্রূককে নিয়ে হলেও, এটি সফল হয়নি। পরে তিনি মেরি গডউইনের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং তাঁকে বিয়ে করেন। মেরি গডউইন পরবর্তীতে "ফ্রাংকেনস্টাইন" রচয়িতা মেরি শেলি হিসেবে পরিচিত হন।
-
Porivasa Academy
-
Rabindranath Tagoreরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) ছিলেন একজন বহুমুখী বাঙালি সাহিত্যিক এবং দার্শনিক, যিনি বাংলা সাহিত্যে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন। কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সংগীতস্রষ্টা এবং চিত্রকর হিসেবে তাঁর কাজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ "গীতাঞ্জলি" জন্য তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা তাকে প্রথম অ-ইউরোপীয় নোবেল বিজয়ী করে তোলে। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য ও সংগীতের মাধ্যমে তিনি মানবতা, প্রেম, ও বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন।
-
Ralph Waldo Emersonরালফ ওয়াল্ডো এমারসন (১৮০৩ - ১৮৮২) একজন আমেরিকান সাহিত্যক। তিনি মূলত ইউনিটারিয়ান রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত হলেও পরে মন্ত্রিপরিষদের পদ ছেড়ে দিয়ে লেখালেখির মধ্যে নিয়োজিত হন। আমেরিকান ট্রান্সেন্ডেন্টাল আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং হার্ভার্ডের ডিভাইনিটি স্কুলের সাথে জড়িত ছিলেন।
-
Robert Browningরবার্ট ব্রাউনিং (৭ মে ১৮১২ – ১২ ডিসেম্বর ১৮৮৯) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইংরেজ কবি ও নাট্যকার, যিনি ভিক্টোরিয়ান যুগে সাহিত্য জগতে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর কবিতায় বিদ্রূপ, চরিত্রায়ণ, এবং সামাজিক ভাষ্যের অনন্য মিশ্রণ পাওয়া যায়। ব্রাউনিং-এর রচনাগুলো তাঁর সময়ের প্রেক্ষাপটে গভীর মনস্তাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেছে, যা তাঁকে সাহিত্যের ইতিহাসে স্থায়ী আসন দিয়েছে।
-
Robert Frostরবার্ট লি ফ্রস্ট (২৬ মার্চ, ১৮৭৪ – ২৯ জানুয়ারি, ১৯৬৩) ছিলেন একজন প্রখ্যাত মার্কিন কবি, যিনি গ্রামীণ জীবনের বাস্তবসম্মত চিত্রায়ণ এবং কথ্য ভাষার নিখুঁত ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। যদিও তাঁর রচনা প্রথমে ইংল্যান্ডে প্রকাশিত হয়েছিল, পরে তা আমেরিকায় ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি পায়। ফ্রস্টের কবিতায় নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলের বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের গ্রামীণ জীবনের চিত্র ফুটে ওঠে, যা তিনি জটিল সামাজিক ও দার্শনিক বিষয়গুলি বিশ্লেষণ করতে ব্যবহার করেছেন।ফ্রস্ট জীবদ্দশায় অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চারটি পুলিৎজার পুরস্কার, যা তাকে কবিতার জগতে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। তিনি আমেরিকার কয়েকজন সাহিত্যিকের মধ্যে একজন, যিনি প্রায় প্রতিষ্ঠানতুল্য জনপ্রিয়তায় পৌঁছেছিলেন। ১৯৬০ সালে তাঁর অসাধারণ সাহিত্যকীর্তির জন্য কংগ্রেসনাল স্বর্ণপদকে ভূষিত হন এবং ১৯৬১ সালে তাঁকে ভারমন্টের পোয়েট লরিয়েট ঘোষণা করা হয়।
-
Robert Herrickধর্মযাজক ও কবি Robert Herrick (1591-1674) লন্ডন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর পিতা-মাতার সপ্তম সন্তান। তাঁর জন্মের এক বছর পর তার পিতা আত্নহত্যা করে মারা যান। Robert Herick এর স্কুলে যােগদান করার কোন প্রমান নেই। যদিও মনে করা হয় তিনি ওয়েষ্টমিনিষ্টার স্কুলে যােগদান করেছিলেন। তিনি ১৬০৭ সালে তাঁর চাচার স্বর্ণের দোকানে শিক্ষানবিশ হিসাবে যােগদান করেন।
-
Samuel Taylor Coleridgeস্যামুয়েল টেলর কোলরিজ (২১ অক্টোবর ১৭৭২ – ২৫ জুলাই ১৮৩৪) একজন ইংরেজ কবি, সাহিত্য সমালোচক, দার্শনিক এবং ধর্মতাত্ত্বিক ছিলেন, যিনি ইংল্যান্ডে রোমান্টিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা এবং লেক কবিদের একজন সদস্য ছিলেন। তিনি তার বন্ধু উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের সাথে এবং চার্লস ল্যাম্ব, রবার্ট সাউদি ও চার্লস লয়েডের সাথে সহযোগিতায় অনেক কাজ করেছেন। তার রচিত কবিতাগুলির মধ্যে "দ্য রাইম অফ দ্য এন্সিয়েন্ট ম্যারিনার" এবং "কুবলা খান" উল্লেখযোগ্য। তার প্রবন্ধ "বায়োগ্রাফিয়া লিটারারিয়া" বিশেষভাবে প্রভাবশালী ছিল, বিশেষ করে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের ক্ষেত্রে। তিনি "সাসপেনশন অফ ডিসবিলিফ" এর মতো অনেক পরিচিত শব্দ ও বাক্যাংশ উদ্ভাবন করেন। কোলরিজের জীবনে তিনি উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার সম্মুখীন হন, এবং ধারণা করা হয় যে তিনি দ্বিমেরুকী ব্যাধিতে ভুগছিলেন। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং তার চিকিৎসার জন্য লডানাম ব্যবহার করতেন, যা তাকে জীবনের দীর্ঘ মাদকাসক্তিতে আক্রান্ত করে। তার জীবনের উত্থান-পতনের মাঝে, তার মর্যাদা মৃত্যুর পর বাড়তে থাকে এবং তিনি ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত হন। তার জীবনের প্রথম দিকে তিনি তার বাবার সাথে ডেভনের ওটারি সেন্ট মেরিতে বসবাস করতেন এবং পরে চার্লস ল্যাম্বের সাথে স্কুলে পড়াশোনা করেন। কেমব্রিজের জেসাস কলেজে পড়ার সময় তিনি ক্রীতদাস প্রথার বিরুদ্ধে একটি ওড রচনা করেন এবং স্বর্ণপদক অর্জন করেন।
-
Sophoclesসফিলাসের ছেলে, সোফোক্লেস, গ্রামীণ ডিম (ছোট সম্প্রদায়) এর একটি ধনী সদস্য ছিল, যেটা এট্টিকারহিপ্পেইওস কলোনাস এর অংশ, যা তার একটি নাটকের জন্য হয়েছিল; এবং তিনি সম্ভবত সেখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, খ্রিস্টপূর্ব ৪৯০ সালে ম্যারাথন যুদ্ধের কয়েক বছর আগে: সঠিক বছরটি অস্পষ্ট, তবে সম্ভবত ৪৯৯/৬। তিনি একটি ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন (তার বাবা একটি বর্ম প্রস্তুতকারক ছিলেন), এবং উচ্চ শিক্ষিত ছিলেন। তার প্রথম শৈল্পিক জয়জয়কার, ৪৬৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ছিল যখন তিনি ডিত্তনাইসিয়াতে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন, আথেনিয়ান নাটকের তৎকালীন গুরু ইস্কিলুসকে হারিয়ে । প্লুতার্কের মতে, বিজয়টি অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে হয়েছিল: গুচ্ছ থেকে বিচারক বাছাইয়ের স্বাভাবিক রীতি অনুসরণ না করে আর্চন সিমন এবং উপস্থিত অন্যান্য কৌশলবিদকে প্রতিযোগিতার বিজয়ী সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল। প্লুতার্ক আরও দাবি করেছেন যে, এই ক্ষতির পরে, শীঘ্রই ইস্কিলুস সিসিলির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন। যদিও প্লুতার্ক বলেন যে এটি সোফোক্লেসের প্রথম প্রযোজনা ছিল, তবে এখন ধারণা করা হয় যে তার প্রথম নাটক সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০ সালে হয়েছিল। উৎসবে উপস্থাপিত সোফোক্লেসের নাটকগুলোর মধ্যে সম্ভবত একটি ছিল ট্রিপটোলেমাস।
-
Ted Hughesএডওয়ার্ড জেমস টেড হিউজ (১৭ আগস্ট, ১৯৩০ – ২৮ অক্টোবর, ১৯৯৮) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইংরেজ কবি, নাট্যকার ও শিশুতোষ লেখক, যিনি ইয়র্কশায়ারের মিথমরয়েড এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। সমালোচকরা তাকে তাঁর প্রজন্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি এবং বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা লেখক হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। ১৯৮৪ সাল থেকে তাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি পয়েট লরিয়েট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, এবং ২০০৮ সালে টাইমস সাময়িকী ১৯৪৫ থেকে ৫০ সেরা ব্রিটিশ লেখকের তালিকায় তাকে চতুর্দশ স্থান দিয়েছে।হিউজ মার্কিন কবি ও লেখিকা সিলভিয়া প্লাথের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৫৬ সালে বিয়ের পর মাত্র সাত বছর পর, ১৯৬৩ সালে প্লাথ আত্মহত্যা করেন। কিছু নারীবাদী ও মার্কিন শুভাকাঙ্খী প্লাথের মৃত্যুর জন্য হিউজকে দায়ী করেছেন। ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত তাঁর সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ "বার্থডে লেটার্স" এ তাদের সম্পর্কের জটিলতা এবং প্লাথের আত্মহত্যার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, যদিও সেখানে সরাসরি মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়নি। অক্টোবর ২০১০ সালে প্রকাশিত একটি কবিতায় প্লাথের মৃত্যুর তিনদিন পূর্বের ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়।
-
Thomas Grayথমাস গ্রে (২৬ ডিসেম্বর ১৭১৬ – ৩০ জুলাই ১৭৭১) ছিলেন একজন ইংরেজ কবি, পত্রলেখক এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসিক্যাল পণ্ডিত। তার সবচেয়ে পরিচিত কবিতা হলো "এলেজি রিটেন ইন এ কান্ট্রি চার্চইয়ার্ড", যা ১৭৫১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। যদিও তিনি নিজের লেখা নিয়ে খুব সমালোচক ছিলেন এবং জীবদ্দশায় মাত্র ১৩টি কবিতা প্রকাশ করেছিলেন, তবুও তিনি খুব জনপ্রিয় ছিলেন। ১৭৫৭ সালে তাকে কবি লরিয়েটের পদ অফার করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।থমাস গ্রে লন্ডনের কর্নহিলে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা তাকে ইটন কলেজে পড়ার সুযোগ দেন, যেখানে তার চাচারা শিক্ষকতা করতেন। গ্রে তার লেখাপড়ার জন্য ক্যামব্রিজের পিটারহাউসে ভর্তি হন, পরে পেমব্রোক কলেজে চলে যান। তার বিখ্যাত কবিতা "এলেজি" হোরাস ওয়ালপোলের সহায়তায় প্রকাশিত হয়, যা তাকে যথাযথ খ্যাতি এনে দেয়।
-
Thomas Hardyটমাস হার্ডি, অর্ডার অব মেরিট (ইংরেজি Thomas Hardy, ২ জুন ১৮৪০ - ১১ জানুয়ারি ১৯২৮) একজন ইংরেজ সাহিত্যিক। রোমান্টিসিজম ঘরানার এই কবি ও ঔপন্যাসিক উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ ও চার্লস ডিকেন্স এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ডিকেন্সের মতো তার লেখাও ভিক্টোরিয়ান সোসাইটিতে সমালোচিত হয়েছিল। যদিও হার্ডি তার লেখায় তৎকালিন ক্ষয়িষ্ণু গ্রাম্য সমাজের দিকে বেশি আলোকপাত করেছিলেন। টমাস হার্ডি প্রথম দিকে নিজেকে একজন কবি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। পরে অবশ্য একজন ঔপন্যাসিক হিসাবেও তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।তার লেখালেখির শুরুটা খুব অল্প বয়সে হলেও ১৮৭০ সালের পূর্বে তার কোন লেখা প্রকাশিত হয়নি। টেস অব দ্যা ড’আরবারভিলস (১৮৯১), ফার ফ্রম দ্যা ম্যডিং ক্রাউড (১৮৭৪), দ্যা মেয়র অব কাস্টারব্রিজ (১৯৮৬), জুড দ্যা অবসকিউর (১৮৯৫) তার জনপ্রিয় উপন্যাস।
-
Walt Whitmanওয়াল্ট হুইটম্যান (৩১ মে, ১৮১৯–২৬ মার্চ, ১৮৯২) ছিলেন একজন প্রভাবশালী মার্কিন কবি, প্রাবন্ধিক, ও সাংবাদিক, যিনি মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও সাহিত্যে তুরীয়বাদ এবং বাস্তবতাবাদের সমন্বয় ঘটিয়েছিলেন। তাকে মুক্তছন্দের জনকও বলা হয়। তার কাব্যসংকলন লিভস অব গ্রাস সেসময় ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল, বিশেষত অশ্লীলতার অভিযোগে সমালোচিত হয়। হুইটম্যানের জন্ম নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডে এবং জীবনের বিভিন্ন সময়ে তিনি সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা, এবং আমেরিকান গৃহযুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক শুশ্রুষাকারীর কাজ করেছেন।হুইটম্যানের জীবন এবং কাজের মধ্যে যৌন প্রবৃত্তির বিষয়টি বহুল আলোচিত হয়েছে, এবং তাকে সাধারণত সমকামী বা উভকামী হিসেবে বর্ণনা করা হয়। তার কবিতায় সমাজের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সমতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটে। তিনি দাসত্বপ্রথার বিরোধিতা করেছিলেন এবং পরে দাসত্ববিলোপবাদী আন্দোলনকে গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর মনে করতে শুরু করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি নিউ জার্সির ক্যামডেনে বসবাস করতেন, এবং সেখানেই ৭২ বছর বয়সে তার জীবনাবসান ঘটে।
-
William Blakeউইলিয়াম ব্লেক (২৮ নভেম্বর ১৭৫৭ - ১২ আগস্ট ১৮২৭) ছিলেন একজন ইংরেজ কবি, চিত্রশিল্পী এবং মুদ্রণশিল্পী। জীবদ্দশায় অল্পস্বীকৃত হলেও, ব্লেক রোমান্টিক যুগের কবিতা এবং চিত্রকলার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। তার "প্রফেটিক ওয়ার্কস" নামক রচনাগুলি বিংশ শতাব্দীর সমালোচক নর্থ্রপ ফ্রাই দ্বারা "ইংরেজি ভাষার সবচেয়ে কম পঠিত কবিতার দেহ" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ব্লেক লন্ডনে পুরো জীবন কাটিয়েছেন, তিন বছর ফেলফাম ছাড়া, এবং তার রচনা বহুমুখী এবং প্রতীকবাহী সমৃদ্ধ যা "ঈশ্বরের শরীর" বা "মানব অস্তিত্ব নিজেই" হিসেবে কল্পনাকে গ্রহণ করে। সমসাময়িকেরা তাকে পাগল মনে করলেও, পরবর্তীকালে তার অভিব্যক্তি, সৃজনশীলতা এবং দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক মূলে জন্য অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছেন। তার চিত্রকর্ম এবং কবিতাগুলি রোমান্টিক আন্দোলনের অংশ হিসাবে এবং "প্রি-রোমান্টিক" হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্লেক ছিলেন একজন ধর্মবাদী, যিনি নিজের মার্সিয়োনাইট ধর্মতত্ত্ব পছন্দ করতেন এবং চার্চ অফ ইংল্যান্ড এবং প্রায় সব ধরণের সংগঠিত ধর্মের বিরোধী ছিলেন। তার কাজের মধ্যে ফরাসি এবং আমেরিকান বিপ্লবের আদর্শ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ব্লেকের স্ত্রী ক্যাথারিন বাউচার তার অনেক বই তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তিনি মুদ্রণশিল্পী এবং রঙমিস্ত্রীর কাজ করতেন। ব্লেকের কাজের এককতা তাকে শ্রেণীবদ্ধ করা কঠিন করে তোলে এবং উনবিংশ শতাব্দীর পণ্ডিত উইলিয়াম মাইকেল রসেটি তাকে "একটি গৌরবময় আলোকিত ব্যক্তি" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ব্লেকের জন্ম লন্ডনের সোহার ব্রড স্ট্রিটে ২৮ নভেম্বর ১৭৫৭ সালে, তিনি সাত সন্তানের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন। তার পিতা জেমস ব্লেক ছিলেন একজন মোজা বিক্রেতা এবং তার মা ক্যাথারিন ব্লেক তাকে বাড়িতে শিক্ষিত করেছিলেন। ধর্মীয় মিস্টিক অভিজ্ঞতা এবং বাইবেল ব্লেকের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
-
William Butler Yeatsউইলিয়াম বাটলার ইয়েটস (ইংরেজি: William Butler Yeats) (১৩ জুন ১৮৬৫ – ২৮ জানুয়ারি ১৯৩৯) বিশ শতকের সাহিত্যাঙ্গণের একজন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইরিশ কবি, নাট্যকার, এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি আইরিশ ও ব্রিটিশ উভয় সাহিত্যেরই একজন প্রবাদ পুরুষ। জীবনের শেষ বছরগুলোতে তিনি দুই মেয়াদে আইরিশ সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার সাহিত্যকর্মে কেল্টিক সাহিত্য, লেডি গ্রেগরি, এবং অ্যাবি থিয়েটারের স্থপতি এডওয়ার্ড মার্টিনের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিদ্যামান। ১৯০০ সাল থেকে তাঁর কবিতা শারীরিক ও বাস্তবধর্মী হয়ে উঠতে থাকে । ১৯২৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার পুরস্কার প্রাপ্তি সম্পর্কে নোবেল কমিটির বর্ণনা ছিলো, “অণুপ্রেরণা জাগানো কবিতা, যা খুবই শৈল্পিকভাবে পুরো জাতির স্পৃহা জাগানো ভাবটিকে প্রকাশ করেছে।” ইয়েটস ছিলেন কোনো ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মানপ্রাপ্ত প্রথম আয়ারল্যান্ডীয়। তাকে বলা হয় সেই গুটিকয়েক সাহিত্যিকদের একজন যাঁদের সর্বোৎকৃষ্ট কাজগুলো লিখিত হয়েছে নোবেল পুরস্কার জয়ের পর।[২] তাঁর এসকল কাজের মধ্যে আছে দ্য টাওয়ার (১৯২৮), এবং দ্য উইন্ডিং স্টেয়ার অ্যান্ড আদার পোয়েমস (১৯২৯)। 'ইস্টার সানডে' তার অন্যতম একটি বিখ্যাত কবিতা, যেটি আইরিশ বিপ্লবের ঘটনাকে তুলে ধরে।
-
William Shakespeareকবি ও নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়র ছিলেন ইংরেজি সাহিত্যের সর্বকালের সেরা একজন সাহিত্যিক। তাকে ইংল্যান্ডের জাতীয় কবি বলা হয়ে থাকে। এছাড়া তিনি “বার্ড অন আভন” নামেও পরিচিত। তিনি ছিলেন ইংরেজি সাহিত্যের এলিযাবেদান ও জ্যাকবিয়ান যুগের কবি। তার যে রচনাগুলি পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৩৮টি নাটক, ১৫৪টি সনেট, দুটি দীর্ঘ আখ্যানকবিতা এবং আরও কয়েকটি কবিতা। কয়েকটি লেখা শেকসপিয়র অন্যান্য লেখকদের সঙ্গে যৌথভাবেও লিখেছিলেন। তার নাটক প্রতিটি প্রধান জীবিত ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং অপর যে কোনো নাট্যকারের রচনার তুলনায় অধিকবার মঞ্চস্থ হয়েছে।
-
William Somerset Maughamউইলিয়াম সমারসেট মম্ (২৫ জানুয়ারি ১৮৭৪ – ১৬ ডিসেম্বর ১৯৬৫) একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং ছোটগল্প লেখক ছিলেন, যিনি বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল বিক্রিত সাহিত্যিকদের মধ্যে একজন। প্যারিসে জন্মগ্রহণ করে, তিনি ইংল্যান্ডে শিক্ষা সম্পন্ন করেন এবং ১৮৯৭ সালে চিকিৎসক হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেন, যদিও তিনি কখনো চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হননি। তার প্রথম উপন্যাস, লিজা অফ ল্যাম্বেথ, জীবনের অন্ধকার দিকগুলোর উপর আলোকপাত করে। নাটক লিখে তিনি প্রথম জাতীয় খ্যাতি অর্জন করেন এবং ১৯০৮ সালের মধ্যে তার চারটি নাটক একই সময়ে লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডে প্রদর্শিত হয়। তার বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে অফ হিউম্যান বন্ডেজ (১৯১৫), দ্য মুন অ্যান্ড সিক্সপেন্স (১৯১৯), এবং দ্য রেজর'স এজ (১৯৪৪) অন্তর্ভুক্ত। সমারসেট মমের লেখায় স্পষ্টতা ও প্রাঞ্জলতার জন্য প্রসিদ্ধ, তবে তিনি স্রোতসাধক সমালোচকদের মধ্যে একপ্রকার অবজ্ঞার শিকার হন। বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ব্রিটিশ গোপন সেবায় কাজ করেন এবং তার অভিজ্ঞতা থেকে গল্প লেখেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি প্রধানত সমকামী ছিলেন এবং ১৯১৭ সালে সিরি ওয়েলকামের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, কিন্তু তাদের সম্পর্কের পাশাপাশি এক যুবক পুরুষের সঙ্গে তার দীর্ঘকালীন সম্পর্ক ছিল। ১৯৪৪ সালে তার সঙ্গীর মৃত্যুর পর, মম্ তার জীবনের শেষ সময়গুলোতে লিখতে অক্ষম হয়ে পড়েন এবং ৯১ বছর বয়সে মারা যান।
-
William Wordsworthউইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ (৭ এপ্রিল ১৭৭০ - ২৩ এপ্রিল ১৮৫০) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইংরেজ রোমান্টিক কবি। তিনি এবং স্যামুয়েল টেলর কলরিজ মিলে ইংরেজি সাহিত্যে রোমান্টিক ধারার সূচনা করেন। তার বিখ্যাত রচনাগুলির মধ্যে "দ্য প্রিলিউড" অন্যতম, যা তার জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে লিখিত একটি আধা-জীবনীমূলক কবিতা। ওয়ার্ডসওয়ার্থকে মূলত প্রকৃতির কবি হিসেবে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়, এবং তিনি প্রকৃতির সৌন্দর্য ও মানব মনের গভীরতা প্রকাশের জন্য সুপরিচিত।
-
Wole Soyinkaওলুওলে আকিনওয়ান্ডে বাবাটুন্ডে ওলুডাইন্ডে আইসোলো "ওলে" সোয়েনকা (জন্ম: ১৩ জুলাই ১৯৩৪) একজন নাইজেরীয় নাট্যকার, কবি এবং সাহিত্যে নোবেলজয়ী লেখক। ১৯৮৬ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা তাকে আফ্রিকা থেকে প্রথম নোবেলজয়ী লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। নাইজেরিয়ার ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইংল্যান্ডের লীডস বিশ্ববিদ্যালয়ে তার উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়। সোয়েনকা তার নাটকে আফ্রিকার আধুনিক সভ্যতার চ্যালেঞ্জ এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তন নিয়ে কাজ করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দা লায়ন অ্যানডো দা জুয়েল’ এবং ‘দা রোড’। তিনি নাইজেরিয়ার নাট্যশিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
Explore by Academic Year
Dive into classic and modern texts, study notes, and critical guides to enrich your academic journey in English literature.
Explore the World of Literature
Dive into classic and modern texts, study notes, and critical guides to enrich your academic journey in English literature.