Table of Contents
Easter 1916 by William Butler Yeats
“Easter 1916” কবিতাটি উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস রচিত একটি ঐতিহাসিক ও আবেগঘন কাব্য, যা ১৯১৬ সালের ইস্টার বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী আইরিশ বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখা হয়। এই কবিতায় ইয়েটস তাঁর কয়েকজন পরিচিত ও প্রিয়জনের মৃত্যুকে স্মরণ করেছেন, যারা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। যদিও ইয়েটস সহিংসতার পক্ষে ছিলেন না, তবুও এই বিদ্রোহ তার মনে নানা দ্বিধা ও আবেগের সৃষ্টি করে। তিনি সাধারণ জীবনের সঙ্গে বিপ্লবী আত্মত্যাগের তুলনা করেছেন এবং এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিশ্বাস ও আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্টভাবে না নিলেও, ইয়েটস বলেন—এই সাহসিকতার মধ্য দিয়ে জন্ম নিয়েছে এক “ভয়াবহ সৌন্দর্য” (terrible beauty)।
Bangla Summary of Easter 1916
উইলিয়াম বাটলার ইয়েটসের “Easter 1916” কবিতাটি ১৯১৬ সালের আইরিশ ইস্টার বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে লেখা, যেখানে কবি বিদ্রোহীদের প্রতি তার শ্রদ্ধা, সংকট, দ্বন্দ্ব ও গভীর আবেগ প্রকাশ করেছেন। কবিতার শুরুতেই ইয়েটস উল্লেখ করেন কীভাবে তিনি এই বিদ্রোহীদের প্রতিদিন রাস্তায় চলাফেরা করার সময় দেখতেন। তারা ছিল একেবারে সাধারণ মানুষ—দোকানদার, শিক্ষক, অফিস কর্মচারী, যাদের সঙ্গে তাঁর মাঝে মাঝে দেখা হতো, কিছু কথাবার্তাও হতো। এই মানুষগুলোর দিকে কখনোই নজর দেওয়ার মতো কিছু ছিল না, বরং অনেক সময় তিনি তাদের প্রতি কিছুটা তাচ্ছিল্যও দেখিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই এই সাধারণ মানুষরা এক ঐতিহাসিক বিপ্লবের অংশ হয়ে উঠেছে—যেখানে তাদের আত্মত্যাগ বদলে দিয়েছে পুরো জাতির চেতনা।
কবিতায় ইয়েটস ব্যক্তিগতভাবে চারজন বিদ্রোহীর কথা উল্লেখ করেছেন, যাদের সাথে তার পূর্বপরিচয় ছিল। প্রথমজন হলেন তার শৈশবের বন্ধু কনস্ট্যান্স মার্কিয়েভিচ, যাকে তিনি “that woman” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি ছিলেন একজন সাহসী নারী যিনি বিদ্রোহে অংশ নেন এবং পরবর্তীতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হন না, কিন্তু আজীবন কারাবরণ করেন। দ্বিতীয়জন হলেন প্যাডরেইক পিয়ার্স, একজন কবি ও শিক্ষাবিদ, যিনি সেন্ট এন্ডাস নামক স্কুল পরিচালনা করতেন এবং বিদ্রোহের অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন। তৃতীয়জন থমাস ম্যাকডোনাফ, পিয়ার্সের বন্ধু ও সহকর্মী, তিনিও কবি ছিলেন এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে কাজ করতেন। চতুর্থজন হলেন জন ম্যাকব্রাইড, যিনি ইয়েটসের ভালোবাসার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। ইয়েটস তাকে তেমন পছন্দ করতেন না—তাকে বর্ণনা করেছেন “a drunken, vainglorious lout” হিসেবে। তবুও, তিনি স্বীকার করেছেন যে ম্যাকব্রাইড বিদ্রোহে অংশ নিয়ে এক সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন এবং এজন্য তাকেও শ্রদ্ধা জানানো উচিত।
এরপর কবি বিদ্রোহীদের মনোভাব ও সংকল্প নিয়ে ভাবেন। তিনি বলেন, এদের হৃদয় যেন এক “enchanted stone”—একটা যাদুতে রূপান্তরিত পাথর। এই রূপকটি বোঝায় যে তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে এতটাই অটল ছিলেন যে জীবনের স্বাভাবিক প্রবাহ, আবেগ, সম্পর্ক সব কিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিলেন। এই পাথরের মত কঠোর সংকল্প দেখে ইয়েটস একদিকে বিস্মিত হন, আবার অন্যদিকে দুঃখিতও, কারণ তিনি বুঝতে পারেন এমন আত্মত্যাগ কতটা কঠিন ও নিষ্ঠুর। কবির মনে প্রশ্ন জাগে—এই বিদ্রোহ ও আত্মত্যাগ কি সত্যিই সার্থক ছিল? এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট কোনো উত্তর তিনি দেন না, বরং নিজের দ্বিধা ও দুর্ভাবনাকেই তুলে ধরেন।
কবিতার শেষাংশে ইয়েটসের ভাবনা আরও গভীর হয়ে ওঠে। তিনি একদিকে বিদ্রোহীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন, আবার অন্যদিকে মৃত্যুর নিষ্ঠুর বাস্তবতাকেও স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমরা যতই দ্বিমত পোষণ করি না কেন, যতই তাদের ভুল বা সঠিক বলি না কেন, তাদের আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরদিন বেঁচে থাকবে। তিনি কবিতার শেষ পঙক্তিতে বলেন, “We know their dream; enough / To know they dreamed and are dead.” অর্থাৎ, আমরা জানি তারা স্বপ্ন দেখেছিল, এবং সেই স্বপ্নের মূল্য দিতে গিয়ে তারা মারা গেছে—এটাই যথেষ্ট। এই উপলব্ধির মাধ্যমে ইয়েটস বিদ্রোহীদের স্বপ্ন এবং আত্মত্যাগকে চিরস্থায়ী মর্যাদা দেন।
পুরো কবিতার সবচেয়ে স্মরণীয় ও বিখ্যাত পঙক্তি “All changed, changed utterly: A terrible beauty is born” বারবার ফিরে আসে এবং এটি কবিতার মূল আবেগ ও বার্তাকে ধারণ করে। এই পঙক্তিতে কবি বুঝিয়ে দেন, বিদ্রোহ সবকিছু বদলে দিয়েছে—এক নতুন বাস্তবতার জন্ম হয়েছে, যা একদিকে সৌন্দর্যময় (কারণ এটি আত্মত্যাগ, দেশপ্রেম ও আদর্শের প্রতীক), আবার অন্যদিকে ভয়ংকর (কারণ এতে মৃত্যু, সহিংসতা ও বেদনাও আছে)। এই দ্বৈততা কবিতাটিকে আরও মানবিক, জটিল ও শক্তিশালী করে তোলে।
এইভাবে “Easter 1916” কেবল একটি ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে না, বরং একজন কবির চোখ দিয়ে সেই ঘটনাকে মূল্যায়ন করে—যেখানে ব্যক্তি সম্পর্ক, রাজনৈতিক দ্বিধা, আত্মত্যাগ, এবং চিরন্তন প্রশ্নগুলোর মুখোমুখি হওয়া যায়। কবিতাটি পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে—বিপ্লব কি শুধুই রক্তপাত? নাকি তা সত্যিকারের পরিবর্তনের পথ? ইয়েটস কোনো সহজ উত্তর দেন না, বরং তার কবিতার মধ্য দিয়ে তিনি আমাদের সামনে রেখে যান এক “ভয়ংকর সৌন্দর্য”-র প্রতিচ্ছবি।
Structure and Form of Easter 1916
“Easter 1916” কবিতাটির গঠন ও কাঠামো নিজেই একটি প্রতীকী শ্রদ্ধাঞ্জলি, যা ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। কবিতাটি চারটি স্তবকে বিভক্ত, যার প্রতিটির পঙক্তি সংখ্যা নির্দিষ্ট ও অর্থবহ। প্রথম ও তৃতীয় স্তবকে ১৬টি করে পঙক্তি রয়েছে—এটি ১৯১৬ সাল এবং বিদ্রোহে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ জন বিদ্রোহীর প্রতি সরাসরি প্রতীকী ইঙ্গিত বহন করে। অপরদিকে, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্তবকে ২৪টি করে পঙক্তি রয়েছে, যা ২৪ এপ্রিল, অর্থাৎ Easter Rising-এর নির্দিষ্ট দিনকে স্মরণ করে। এই রূপগত বিন্যাস কেবল কবিতাটির শৈল্পিক গঠন নয়, বরং এর মধ্য দিয়েই ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে। এভাবে কবিতার রূপ ও বিষয়বস্তু একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
কবিতাটিতে ABAB ছন্দবিন্যাস অনুসরণ করা হয়েছে, যা পূর্ণ ছন্দ (full rhyme) এবং অর্ধছন্দ (half rhyme) উভয়ই ব্যবহার করে। এই ছন্দ কাঠামো কবিতাটিকে এক ধরনের লোকসঙ্গীতের মতো গীতলতা ও আবেগ দিয়েছে। যদিও ABAB বিন্যাস কবিতার একটি সুশৃঙ্খল ছন্দগত ভারসাম্য বজায় রাখে, তবুও অর্ধছন্দ ব্যবহারের মাধ্যমে ইয়েটস নিজস্ব দ্বন্দ্ব ও অস্থির আবেগ তুলে ধরেছেন—বিশেষ করে বিপ্লব, আত্মত্যাগ এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন নিয়ে তাঁর সংশয় ও মিশ্র অনুভূতির প্রতিফলন এখানে স্পষ্ট।
ছন্দ ও মাত্রার দিক থেকে, ইয়েটস “strong stress meter” ব্যবহার করেছেন, যা নির্দিষ্ট মাত্রা (যেমন iambic pentameter) অনুসরণ না করে প্রাকৃতিক উচ্চারণ ও চাপের ভিত্তিতে গঠিত। যদিও কোথাও কোথাও iambic tetrameter (চার মাত্রার) বা iambic trimeter (তিন মাত্রার) দেখা যায়, তিনি কবিতার গঠনে কঠোর মাত্রা অনুসরণ না করে বরং গান ও সঙ্গীতধর্মী অনুভব তৈরিতে গুরুত্ব দিয়েছেন। এই পরিবর্তনশীল ছন্দ কবির আবেগের ওঠানামার প্রতিচ্ছবি—কখনো দ্বিধাগ্রস্ত, কখনো সম্মানসূচক, আবার কখনো গভীর অনুশোচনায় পূর্ণ। কবিতার এই সংগীতময় গঠন একে মৃত বিদ্রোহীদের জন্য একটি প্রার্থনার মতো আবেগময় ও মন্ত্রমুগ্ধ করে তোলে।
এইভাবে “Easter 1916” কবিতার কাঠামো ও রূপ কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং কবিতার অন্তর্নিহিত বার্তা, ইতিহাসের স্মরণ এবং আবেগপ্রবণ প্রতিফলনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
Themes of the Poem Easter 1916
প্রকৃতির প্রতি প্রেম ও নির্ভরতা
এই কবিতায় প্রকৃতিকে শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে নয়, বরং আত্মিক প্রশান্তির একমাত্র আশ্রয়স্থল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইয়েটস বিশ্বাস করেন প্রকৃতি নিজেই একটি মূল্যবান বাস্তবতা — এর জন্য মানুষের কোনো হস্তক্ষেপ প্রয়োজন নেই। প্রকৃতি তাকে শান্তি দেয়, তাকে জীবনের গভীরতায় পৌঁছাতে সাহায্য করে। ইনিশফ্রি দ্বীপের নিস্তব্ধ প্রকৃতি কবির জন্য এমন এক স্থান, যেখানে তিনি শহুরে কোলাহল থেকে সরে গিয়ে প্রকৃতির মাঝে আত্মমগ্ন হতে পারেন।
শান্তি ও নিস্তব্ধতার আকাঙ্ক্ষা
এই কবিতার সবচেয়ে শক্তিশালী বার্তাগুলোর একটি হলো শান্তির প্রতি আকর্ষণ। ইনিশফ্রির কল্পিত জীবনচিত্রে কবি যেভাবে দিন-রাতের শান্ত প্রকৃতিকে বর্ণনা করেছেন, তা থেকে স্পষ্ট হয় — তিনি মানসিক প্রশান্তি খুঁজছেন। এই শান্তি শহরের ভিড়, শব্দ, দায়িত্ব ও উদ্বেগের বিপরীতে অবস্থান করে। ইনিশফ্রি যেন এক আত্মিক আশ্রয়, যেখানে জীবন ধীরে, নিঃশব্দে, নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রবাহিত হয়।
আত্মিক সম্পর্ক ও আধ্যাত্মিকতা
ইনিশফ্রি দ্বীপ শুধু একটি ভৌগোলিক স্থান নয়, বরং এটি এক আধ্যাত্মিক প্রতীক। এটি এমন একটি স্থান যেখানে কবি নিজেকে খুঁজে পান, নিজের আত্মার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন। প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়া মানে শুধু বাহ্যিক জগৎ থেকে সরে যাওয়া নয়, বরং নিজের ভেতরের শান্তির জগতে প্রবেশ করা। এই আধ্যাত্মিক অনুভূতি কবির জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে এবং ইনিশফ্রিকে করে তোলে এক চিরকালীন আকাঙ্ক্ষার স্থান।
আধুনিকতার প্রতিকূলতা থেকে অন্তর সরে যাওয়া
ইয়েটস যে পরিবেশ থেকে সরে আসতে চান, তা হল শিল্পায়ন ও শহুরে জীবনের কৃত্রিমতা। ইনিশফ্রি তাঁর জন্য এমন একটি আশ্রয়, যেখানে কোনো দালান, যানবাহনের শব্দ, কিংবা মানুষের কোলাহল নেই। এখানে তিনি একান্তে নিজের সঙ্গে থাকতে পারেন, প্রকৃতির নিরব ভাষা অনুভব করতে পারেন। এই অন্তরসারিত সরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে কবি আধুনিক জীবনের যান্ত্রিকতার পরিবর্তে প্রকৃতির সরলতা ও আত্মিক প্রশান্তিকে বেছে নিচ্ছেন।
Analysis, Stanza by Stanza
Stanza 01 Bangla Analysis
I have met them at close of day
Coming with vivid faces
From counter or desk among grey
Eighteenth-century houses.
I have passed with a nod of the head
Or polite meaningless words,
Or have lingered awhile and said
Polite meaningless words,
And thought before I had done
Of a mocking tale or a gibe
To please a companion
Around the fire at the club,
Being certain that they and I
But lived where motley is worn:
All changed, changed utterly:
A terrible beauty is born.
এই স্তবকে ইয়েটস ডাবলিন শহরের চিত্র আঁকেন, যেখানে সেই বিদ্রোহীরা বাস করতেন এবং কাজ করতেন। ডাবলিন পরিচিত তার অষ্টাদশ শতাব্দীর ধূসর, যুক্ত ইটের চারতলা ভবনের জন্য—যার প্রতিটি দরজার ওপরে ছিল আধবৃত্তাকার “ফ্যানলাইট” জানালা। ইয়েটস নিজেও এমন একটি বাড়িতে (৮২ মেরিয়ন স্কোয়ার) বাস করতেন।
এই স্তবকে তেমন কোনো ঘটনা ঘটছে না—শুধু স্মৃতিচারণা। ইয়েটস বলছেন, তিনি কীভাবে এই বিদ্রোহীদের রাস্তায় দেখতেন, মাঝে মাঝে কথা বলতেন—যদিও সেগুলো ছিল শিষ্টাচারপূর্ণ, কিন্তু গভীরতাহীন ও অর্থহীন। কখনো কখনো তিনি ক্লাবে (Gentlemen’s Club) বন্ধুদের সঙ্গে বসে বিদ্রোহীদের নিয়ে ঠাট্টা করতেন। ক্লাবটি ছিল এক ধরনের ইংরেজ অভিজাত সমাজের প্রতীক, যেখানে এই বিদ্রোহীরা সদস্য হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন না।
এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ইয়েটস যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা তার সাধারণ কাব্যিক ভাষার চেয়ে অনেক সরল। তিনি সাধারণত অলঙ্কারপূর্ণ, ফুলেল ভাষায় কবিতা লেখেন, কিন্তু এখানে ভাষা অনেক বেশি সরল ও বাস্তবধর্মী। উদাহরণস্বরূপ, “mocking tale or a gibe” (বিদ্রূপপূর্ণ গল্প বা ঠাট্টা) এই ধরনের শব্দচয়নের মাধ্যমে বোঝা যায়, কবির মনোভাব তখন বিদ্রোহীদের প্রতি কটাক্ষপূর্ণ ছিল।
এই স্তবকের শেষদিকে ইয়েটস “motley” শব্দটির একটি সূক্ষ্ম কিন্তু শক্তিশালী রূপক ব্যবহার করেন। “Motley” বলতে বোঝায় রঙ-বেরঙের পোষাক, যা প্রথাগতভাবে আদালতের ভাঁড় বা কৌতুকবিদরা পরতেন। ১৯১৬ সালের ডাবলিন শহরও ছিল ঠিক এমনই এক “motley” সমাজ—ক্যাথলিক এবং প্রোটেস্ট্যান্ট, আইরিশ অনুভবে আইরিশ, কিন্তু নাগরিকত্বে ব্রিটিশ, ধনী ও দরিদ্রের মিশ্র বাসস্থান। এখানে ইয়েটস metonymy নামক অলংকার ব্যবহার করেছেন—যেখানে কোনো বস্তু বা বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে পুরো জীবনধারার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়। “Motley” পোশাকের বৈচিত্র্য ও হাস্যকর রূপকল্প কবির চোখে সমাজের দৈন্যতা ও জটিলতাকে তুলে ধরেছে।
এছাড়াও, “motley” শব্দটি আরেকটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বহন করে—ইংরেজ নাটকে “Stage Irishman” নামে এক ধরনের মূর্খ, মাতাল, হাস্যকর আইরিশ চরিত্র দেখানো হতো, যাকে ইংরেজরা বিদ্রূপ করত। ইয়েটস নিজেও একসময় এই বিদ্রোহীদের সেই জাতীয় ভাঁড়ের মতোই দেখতেন এবং তাদের স্বপ্নকে উপহাস করেছিলেন। তাই, “motley” শব্দটি শুধু একটি রূপক নয়, বরং সে-সময়ের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বাস্তবতাকে এককথায় তুলে ধরেছে।
এই স্তবকের শেষে দেখা যায় বিখ্যাত ছন্দপঙক্তি যা প্রতিটি স্তবকের শেষেও পুনরাবৃত্ত হয়—“All changed, changed utterly: A terrible beauty is born.”
এখানে “terrible” এবং “beauty” দুটি বিপরীত ভাব—একটি ভয়ানক, অন্যটি সুন্দর—এদের একসাথে ব্যবহারে সৃষ্টি হয়েছে “sublime” নামক ভাবনা, যেখানে ভয় এবং সৌন্দর্য একসঙ্গে অস্তিত্ব লাভ করে। এটি এমন এক অনুভূতি, যা সাধারণত দূর থেকে উপলব্ধি করা যায়। ইয়েটসের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও ঠিক তাই—বিদ্রোহ ছিল ভয়ংকর, কারণ এতে মৃত্যু ও সহিংসতা ছিল; কিন্তু সেই সাহস, সেই স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল এক অনন্য সৌন্দর্য, এক “পাখা মেলা ঘোড়া”র মতো কাব্যিক কল্পনা।
Stanza 02 Bangla Analysis
That woman’s days were spent
In ignorant good-will,
Her nights in argument
Until her voice grew shrill.
What voice more sweet than hers
When, young and beautiful,
She rode to harriers?
This man had kept a school
And rode our wingèd horse;
This other his helper and friend
Was coming into his force;
He might have won fame in the end,
So sensitive his nature seemed,
So daring and sweet his thought.
This other man I had dreamed
A drunken, vainglorious lout.
He had done most bitter wrong
To some who are near my heart,
Yet I number him in the song;
He, too, has resigned his part
In the casual comedy;
He, too, has been changed in his turn,
Transformed utterly:
A terrible beauty is born.
এই স্তবকে কবি ইনিশফ্রিতে যাওয়ার পেছনের মূল কারণটি প্রকাশ করেন — “সেখানে আমি কিছুটা শান্তি পাব।” এই বাক্যে বোঝা যায়, কবি শহুরে জীবনে যে মানসিক অস্থিরতা ও কোলাহলে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তার থেকে মুক্তি পেতে চান। তাঁর কাঙ্ক্ষিত শান্তি আসবে ধীরে ধীরে, যেন সকালবেলার শিশির ফোঁটার মতো “ধীরে ধীরে ঝরে পড়বে” — এই উপমাটি অত্যন্ত কাব্যিক ও সংবেদনশীল।
এখানে ইয়েটস শান্তিকে প্রকৃতির একটি অঙ্গ হিসেবে তুলে ধরেছেন। শান্তি যেন সকালের আবছা কুয়াশা থেকে ধীরে ধীরে মাটির বুকে জমে ওঠে — সেই জায়গা পর্যন্ত, যেখানে ঝিঁঝিঁ পোকার সুর শোনা যায়। এই বাক্যটি শান্তিকে শুধুমাত্র এক মানসিক অবস্থা নয়, বরং প্রকৃতির এক ছায়াসঙ্গী রূপে কল্পনা করে। কবির কাছে প্রকৃতির ভোর, কুয়াশা, শিশির, এবং ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ — এইসবই শান্তির পরিপূর্ণ রূপ।
এরপর কবি ইনিশফ্রির তিনটি ভিন্ন সময়ের চিত্র তুলে ধরেন — মধ্যরাত্রি, মধ্যাহ্ন এবং সন্ধ্যা। প্রতিটি সময় প্রকৃতির একেকটি রূপ, একেকটি অনুভূতি বহন করে।
- “There midnight’s all a glimmer” — অর্থাৎ ইনিশফ্রিতে মধ্যরাত্রি কেবল অন্ধকার নয়, বরং সেখানে এক মায়াবী ঝিলমিল আলো বিরাজ করে। হয়তো এটি তারা, জোনাকি, কিংবা চাঁদের আলো — যা রাতকেও জাগ্রত ও সুন্দর করে তোলে।
- “And noon a purple glow” — দুপুরবেলা সেখানে কেবল উত্তপ্ত নয়, বরং বর্ণিল। “বেগুনি আভা” (purple glow) বলতে বোঝানো হয়েছে আকাশের এক নরম, স্বপ্নময় রঙের ছায়া, যা কবির দৃষ্টিতে শান্তি ও সৌন্দর্যের প্রতীক।
- “And evening full of the linnet’s wings” — সন্ধ্যায় চারপাশ ভরে ওঠে লিনেট নামক এক ধরনের ছোট পাখির পাখার ডানায়। এটি একটি বাদামি ও ধূসর পাখি যার বুক লালচে। পাখির ওড়াউড়ির শব্দ যেন সন্ধ্যার নিঃশব্দ ঘন্টায় এক সজীবতা ও প্রাণবন্ততা এনে দেয়। এটি প্রকৃতির সঙ্গীত, যা কবিকে আত্মিক প্রশান্তি দেয়।
এই স্তবকটি মূলত একটি কল্পিত ও আদর্শ প্রকৃতির চিত্র — যেখানে দিন রাতের প্রতিটি মুহূর্ত কবির হৃদয়কে শান্ত ও পূর্ণ করে তোলে। প্রকৃতি এখানে কেবল দৃশ্য নয়, এক গভীর অনুভবের স্থান, যেখানে কবি নিজের অস্তিত্বকে খুঁজে পেতে চান।
Stanza 03 Bangla Analysis
Hearts with one purpose alone
Through summer and winter seem
Enchanted to a stone
To trouble the living stream.
The horse that comes from the road,
The rider, the birds that range
From cloud to tumbling cloud,
Minute by minute they change;
A shadow of cloud on the stream
Changes minute by minute;
A horse-hoof slides on the brim,
And a horse plashes within it;
The long-legged moor-hens dive,
And hens to moor-cocks call;
Minute by minute they live:
The stone’s in the midst of all.
তৃতীয় স্তবকে W. B. Yeats বিদ্রোহীদের উদ্দেশে একটি বিস্তৃত গ্রামীণ উপমা ব্যবহার করেছেন। এখানে বলা হয়েছে যে তাদের হৃদয় কেবল একটিমাত্র উদ্দেশ্যে নিবদ্ধ—সশস্ত্র বিদ্রোহ। এই হৃদয়কে তিনি তুলনা করেছেন পাথরের সাথে, যা ইতিহাসের প্রবাহকে বিঘ্নিত করে। বিদ্রোহীদের হৃদয় যেন পাথরের মতো শক্ত ও অচল, পরিবর্তনশীল জীবনের প্রবাহের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকে।
Yeats বিদ্রোহীদের হৃদয়কে “পাথর” হিসেবে দেখিয়েছেন, যা পরিবর্তনহীন ও এক উদ্দেশ্যে নিবেদিত। এই তুলনা বিদ্রোহীদের একনিষ্ঠতা ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। এর বিপরীতে, তিনি প্রকৃতির নানান দৃশ্য তুলে ধরেছেন—ঘোড়া ও আরোহী, মেঘের ছায়া, ঝর্ণার জল, জলপাখির চলাফেরা—যা প্রত্যেকটি মুহূর্তে পরিবর্তিত হয়। এই পরিবর্তনশীল জীবনের সাথে বিদ্রোহীদের হৃদয়ের স্থিরতা স্পষ্টভাবে বৈপরীত্য তৈরি করে।
এই বৈপরীত্যই দেখায় যে বিদ্রোহীরা আর সাধারণ মানুষ নন; তারা নিজেদের শক্ত সংকল্পে ইতিহাসের ধারায় স্থায়ী প্রভাব ফেলেছেন। Yeats-এর দৃষ্টিভঙ্গি এই স্তবক থেকে কিছুটা বদলায়। পূর্বে তিনি বিদ্রোহীদের প্রতি সমালোচনামূলক ছিলেন, কিন্তু এখানে তাদের অটল সংকল্প ও ত্যাগের প্রতি এক ধরনের শ্রদ্ধা প্রকাশ করতে শুরু করেন।
Stanza 04 Bangla Analysis
Too long a sacrifice
Can make a stone of the heart.
O when may it suffice?
That is Heaven’s part, our part
To murmur name upon name,
As a mother names her child
When sleep at last has come
On limbs that had run wild.
What is it but nightfall?
No, no, not night but death;
Was it needless death after all?
For England may keep faith
For all that is done and said.
We know their dream; enough
To know they dreamed and are dead;
And what if excess of love
Bewildered them till they died?
I write it out in a verse—
MacDonagh and MacBride
And Connolly and Pearse
Now and in time to be,
Wherever green is worn,
Are changed, changed utterly:
A terrible beauty is born.
চূড়ান্ত স্তবকে Yeats বিদ্রোহ ও মৃত্যুবরণ করা নেতাদের আত্মত্যাগ নিয়ে গভীর প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, অতিরিক্ত ত্যাগ হৃদয়কে পাথরের মতো কঠিন করে তোলে। কিন্তু কখন এই ত্যাগ যথেষ্ট হবে? এটি নির্ধারণ করা মানুষের কাজ নয়, বরং স্বর্গের সিদ্ধান্ত। মানুষের কাজ শুধু শহীদদের নাম ধরে ধরে স্মরণ করা, যেমন মা ঘুমিয়ে যাওয়া সন্তানের নাম ধরে উচ্চারণ করে।
এই স্তবকে Yeats মৃত্যুর প্রকৃতি নিয়ে ভাবেন। তিনি বলেন, এটি শুধু রাতের অন্ধকার নয়, বরং প্রকৃত মৃত্যু। এরপর তিনি প্রশ্ন তোলেন—এই মৃত্যু কি অপ্রয়োজনীয় ছিল? কারণ তখন ইংল্যান্ড আয়ারল্যান্ডকে স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু যুদ্ধকালীন প্রেক্ষাপটে সেটি স্থগিত হয়ে যায়। এই প্রেক্ষাপটে Yeats নিশ্চিত নন, বিদ্রোহীরা যে প্রাণ দিলেন, তা প্রয়োজনীয় ছিল কি না।
তবুও তিনি বিদ্রোহীদের স্বপ্নকে মূল্যবান হিসেবে স্বীকার করেন। তারা হয়তো অতিরিক্ত দেশপ্রেমে বিভ্রান্ত হয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন, কিন্তু তাদের স্বপ্নই জাতিকে নতুন ইতিহাসের পথে নিয়ে গেছে। এজন্য Yeats ঐতিহ্য অনুযায়ী শহীদদের নাম উচ্চারণ করেন—Padraic Pearse, Thomas MacDonagh, John MacBride এবং James Connolly। এই নামগুলো আয়ারল্যান্ডের সংগ্রামী ইতিহাসে স্থায়ীভাবে খোদাই হয়ে যায়।
সবশেষে তিনি বলেন, যেখানে-যেখানে সবুজ রং পরা হবে, যা আয়ারল্যান্ডের প্রতীক, সেখানেই স্মরণ করা হবে এই আত্মত্যাগীদের। তাদের মৃত্যুর মধ্য দিয়েই জন্ম নিয়েছে এক “ভয়ংকর সৌন্দর্য”—একটি সম্পূর্ণ নতুন বাস্তবতা, যা আয়ারল্যান্ডকে চিরতরে বদলে দিয়েছে।
English Summary of Easter 1916
W. B. Yeats’s poem Easter 1916 is a powerful tribute to the Irish revolutionaries who took part in the Easter Rising against British rule. Though Yeats himself was not an advocate of violence, he was deeply moved by the courage, sacrifice, and ideals of those who gave their lives for Ireland’s freedom. The poem reflects his inner conflict—balancing personal feelings, political doubts, and admiration for the rebels’ unwavering dedication.
At first, Yeats recalls how he often saw these men and women as ordinary people in daily life—teachers, clerks, or acquaintances whom he sometimes dismissed with “polite meaningless words.” Yet, through their sacrifice, these ordinary figures were transformed into symbols of national pride. Yeats pays particular attention to four individuals he personally knew: Constance Markievicz, Patrick Pearse, Thomas MacDonagh, and John MacBride. Despite personal differences—especially with MacBride—he acknowledges that their sacrifice deserves respect.
The poem introduces the striking metaphor of the “enchanted stone,” representing the rebels’ hardened resolve in contrast to the ever-changing flow of nature. Their hearts became unyielding in pursuit of a single purpose, setting them apart from the ordinary rhythms of life. Yeats admires this determination but also questions whether such sacrifice was necessary or in vain.
Structurally, the poem itself carries symbolic meaning: the stanza lengths mirror the year 1916 and the date of the Easter Rising. Its recurring refrain, “All changed, changed utterly: A terrible beauty is born,” captures the essence of the event—a transformation that is at once noble and tragic, beautiful and terrifying.
Ultimately, Yeats does not offer a clear political conclusion. Instead, he elevates the memory of the martyrs, writing their names into history. He reminds us that even if their dream may not have been fully realized, the very act of dreaming and dying for Ireland has immortalized them. Easter 1916 thus stands as both a personal meditation and a national elegy, embodying the paradox of revolutionary sacrifice: death, yet renewal; horror, yet beauty.
Follow us on Facebook





