George Herbert’s Life and Work in Bengali

George Herbert

Born: 1593, Montgomery, Wales

Died: 1633, Bemerton, Wiltshire, England

Nationality: Welsh Occupation Poet, author, priest, theologian

Style: Metaphysical poetry, theology

Show His work in Bangla

Read All Poets and Writers List

জীবন ও সাহিত্যকর্ম

ক. সূচিশুভ্র, রুচিশীল, পূত ও পবিত্র, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে যিনি কবিতা রচনায় হাত দেন তিনি হচ্ছেন জর্জ হারবার্ট। জর্জ হারবার্ট ম্যাটাফিজিক্যাল কবিদের একজন এবং ম্যাটাফিজিক্যাল কবিতার জনক জন ডান (১৫৭২-১৬৩১) এর সমসাময়িক। ১৫৯৩ সালের ৩রা এপ্রিল জর্জ হারবার্ট জন্মগ্রহণ করেন মন্টগােমারি ক্যাসল, ইংল্যান্ডে। হারবার্টরা ছিলেন দশ ভাইবােন, সাত ভাই এবং তিন বােন। ভাইদের মধ্যে জর্জ হারবার্ট ছিলেন পঞ্চম। আর তাদের পরিবারটি ছিল খুব সম্ভ্রান্ত পরিবারগুলাের মধ্যে একটা। তার মা ম্যাগডলেন ছিলেন সুশিক্ষিতা রমণী। মায়ের জীবন দর্শন ও শিক্ষার প্রভাব পড়েছিল জর্জ হারবার্টের জীবনে। তার সাতটা ছেলেকেই পড়ালেখা করালেন। উল্লেখ্য যে, জর্জ হারবার্টের জন্মের মাত্র তিন বছর পর অর্থাৎ ১৫৯৬ সালে তার বাবা মারা গেলেন। হারবার্টের বাবা মারা যাওয়া সত্ত্বেও তার মা তাদের লেখাপড়ার প্রতি অমনােযােগী ছিলেন না।

ক. সূচিশুভ্র, রুচিশীল, পূত ও পবিত্র, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে যিনি কবিতা রচনায় হাত দেন তিনি হচ্ছেন জর্জ হারবার্ট। জর্জ হারবার্ট ম্যাটাফিজিক্যাল কবিদের একজন এবং ম্যাটাফিজিক্যাল কবিতার জনক জন ডান (১৫৭২-১৬৩১) এর সমসাময়িক। ১৫৯৩ সালের ৩রা এপ্রিল জর্জ হারবার্ট জন্মগ্রহণ করেন মন্টগােমারি ক্যাসল, ইংল্যান্ডে। হারবার্টরা ছিলেন দশ ভাইবােন, সাত ভাই এবং তিন বােন। ভাইদের মধ্যে জর্জ হারবার্ট ছিলেন পঞ্চম। আর তাদের পরিবারটি ছিল খুব সম্ভ্রান্ত পরিবারগুলাের মধ্যে একটা। তার মা ম্যাগডলেন ছিলেন সুশিক্ষিতা রমণী। মায়ের জীবন দর্শন ও শিক্ষার প্রভাব পড়েছিল জর্জ হারবার্টের জীবনে। তার সাতটা ছেলেকেই পড়ালেখা করালেন। উল্লেখ্য যে, জর্জ হারবার্টের জন্মের মাত্র তিন বছর পর অর্থাৎ ১৫৯৬ সালে তার বাবা মারা গেলেন। হারবার্টের বাবা মারা যাওয়া সত্ত্বেও তার মা তাদের লেখাপড়ার প্রতি অমনােযােগী ছিলেন না।

সবকটা ছেলেকেই শিক্ষিত করে তুললেন এবং ছেলেরা যে যার পছন্দ মতাে পেশা বেছে নিল। কেউবা কোর্টে, কেউবা সেনাবাহিনীতে চাকুরি নিল। জর্জ হারবার্টকে লেখাপড়া করান হলাে ওয়েস্টমিনিষ্টার স্কুলে এবং ট্রিনিটি কলেজে। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে সেখানেই তিনি ফেললা নিযুক্ত হন ১৬১৬ সালে। তারপর তিনি ক্যামব্রিজের রিডার নিযুক্ত হন ১৬১৮ সালে।

জর্জ হারবার্টের জীবন ছিল স্বল্পস্থায়ী। সারা জীবন তিনি তার রােগ ব্যাধির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু এই স্বল্প স্থায়ী জীবনেও বৈচিত্র ছিল। রাজনীতির মঞ্চেও তিনি পদার্পণ করেছিলেন। ১৬২৪ সালে জর্জ হারবার্ট মন্টগােমারি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৬২৯ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার এক বন্ধুর কাজিন এর সাথে। জন ডান, জর্জ হারবার্টকে আরও বেশি ধর্মানুরাগী করে তােলেন এবং ১৬৩০ সালে হারবার্ট ধর্মযাজক হয়েছিলেন। কিন্তু ধর্মযাজক হওয়ার পর তিন বছর পার না হতেই তিনি ইহলােকের সাথে সকল সম্পর্কের ইতি টেনে দিলেন। মাত্র চল্লিশ বছরেরও কম সময়ের জীবনে কখনাে বা ক্যামব্রিজের ফেললা, কখনাে বা রিডার, কখনাে বা রাজনীতিবিদ কখনাে বা কবি, কখনাে বা ধর্মযাজক ছিলেন জর্জ হারবার্ট। তাঁর নৈতিকতা, আচরণ ও চিন্তার পবিত্রতা তাঁর বন্ধুবান্ধবদের আকৃষ্ট করেছে দারুণভাবে। বন্ধু-বান্ধা তাঁকে হােলি হারবার্ট বলে ডাকত। তিনি ছিলেন ম্যাটাফিজিক্যাল কবি গােষ্ঠীর তাপস।

খ, তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যে দি ট্যাম্পল কাব্য গ্রন্থটিই বড় কর্ম। এটি একখণ্ডে প্রকাশিত হয়। তাঁর জীবনকালে তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। তার মৃত্যুর পর ১৬৩৩ সালে “দি ট্যাম্পল” প্রকাশিত হয়। তিনি যখন মৃত্যুশয্যায় তখন তিনি তাঁর কবিতার পাণ্ডুলিপিটি পাঠিয়ে দেন তাঁর বন্ধু নিকোলাসের কাছে। উল্লেখ্য যে, এই নিকোলাস এবং জর্জ হারবার্ট একই বছর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নিকোলাসের কাছে পাণ্ডুলিপিটি পাঠান হয়েছিল প্রকাশ করার জন্যে নয়; বিচার করার জন্যে। তার বিচারে এই কবিতাগুলাে প্রকাশ উপযােগী হলে সে প্রকাশ করবে অন্যথায় পুড়ে ফেলবে। হারবার্টের মৃত্যুর পর কিন্তু সে বছরই নিকোলাস এই কবিতাগুলাে বই আকারে প্রকাশ করে দি ট্যাম্পল’ নামে। দি ট্যাম্পল ছাড়া ল্যাটিন ভাষায় রচিত তাঁর কিছু কবিতা পাওয়া যায়।

ট্রিনিটি কলেজে অধ্যয়নকালে জর্জ হারবার্ট কোন এক নববর্ষে, দুটি সনেট লিখে পাঠালেন তার মা’কে নববর্ষের উপহার হিসাবে। তখন হারবার্টের বয়স ষােল বছর। এ দুটি সনেটে তিনি প্রশ্ন রাখলেন যে, কবিতা কেন শুধু প্রেম ভালবাসার কথা বলবে। কবিতা কেন প্রকৃতির কথা, সৃষ্টির কথা, স্রষ্টার কথা বলবে না। পরবর্তীকালে তাঁর কবিতায় এই আধ্যাত্মিক চিন্তা বাণীমূর্তি লাভ করেছে। ঈশ্বর প্রেম, ঐশ্বরিক ক্ষমতা, মানুষের উপর ঈশ্বরের নিয়ন্ত্রণ, মানুষের প্রতি ঈশ্বরের ভালবাসা ইত্যাদি বিষয় ব্যাপ্তি লাভ করেছে তাঁর কবিতায়।

Discipline কবিতায় হারবার্ট বিশ্বনিয়ন্তার কাছে আবেদন জানিয়েছেন করুণ কণ্ঠে, বিশ্বনিয়ন্তা যেন শাস্তির ভয় দেখিয়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ না করেন। ভালবাসা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেনঃ

‘Throw away thy rod,
Throw away thy wrath:
O my God,
Take the gentle path.”

ভালবাসার কাজ নিপুণ এবং দীর্ঘস্থায়ী। ভালবাসার শাসন হবে দীর্ঘস্থায়ী। ভালবাসা মানুষের কঠিন হৃদয়কেও গলাতে পারে।

‘Then let wrath remove,
Love will do the deed:
For with love
Stonie hearts will bleed.’
“The Flower’ কবিতায় কবি বর্ণনা করেছেন মানুষের প্রতি প্রভুর অশেষ ভালবাসার কথা। শুধুমাত্র মানুষের জন্যই জগদীশ্বর চিরসুখের আগার স্বর্গ সৃষ্টি করে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ যদি কোন বিষয়ে নিজের মধ্যে অহংকার লালন করে তবে সে স্বর্গে প্রবেশাধিকার পাবে না। এই কবিতার শেষ স্তবকে কবি বলেনঃ 
 
‘These are thy wonders, Lord of love,
To make us see we are but flowers that glide:
Which when we once can finde and prove,
Thou hast a garden for us, where to bide.

 

“Only a sweet and Vertuous soul,
Like season’d timber, never gives;
But though the whole world turn to coal,
Then chiefly lives.’
 
‘The Pulley’ কবিতায় মানুষের সাথে স্রষ্টার আর স্রষ্টার সাথে মানুষের সম্পর্ক যাতে শিথিল হয়ে না যায় সেজন্য স্রষ্টা কি কৌশল অবলম্বন করেছেন তা বিধৃত হয়েছে। ধর্মীয় পুনর্জাগরণই হারবার্টএর কবিতার মূল সুর।

 

Author

  • George Herbert

    জর্জ হারবার্ট ম্যাটাফিজিক্যাল কবিদের একজন এবং ম্যাটাফিজিক্যাল কবিতার জনক জন ডান (১৫৭২-১৬৩১) এর সমসাময়িক। ১৫৯৩ সালের ৩রা এপ্রিল জর্জ হারবার্ট জন্মগ্রহণ করেন মন্টগােমারি ক্যাসল, ইংল্যান্ডে। হারবার্টরা ছিলেন দশ ভাইবােন, সাত ভাই এবং তিন বােন। ভাইদের মধ্যে জর্জ হারবার্ট ছিলেন পঞ্চম। আর তাদের পরিবারটি ছিল খুব সম্ভ্রান্ত পরিবারগুলাের মধ্যে একটা। তার মা ম্যাগডলেন ছিলেন সুশিক্ষিতা রমণী। মায়ের জীবন দর্শন ও শিক্ষার প্রভাব পড়েছিল জর্জ হারবার্টের জীবনে। তার সাতটা ছেলেকেই পড়ালেখা করালেন। উল্লেখ্য যে, জর্জ হারবার্টের জন্মের মাত্র তিন বছর পর অর্থাৎ ১৫৯৬ সালে তার বাবা মারা গেলেন। হারবার্টের বাবা মারা যাওয়া সত্ত্বেও তার মা তাদের লেখাপড়ার প্রতি অমনােযােগী ছিলেন না।

    View all posts