Table of Contents
The Lake Isle of Innisfree by William Butler Yeats
১৮৮৮ সালে রচিত উইলিয়াম বাটলার ইয়েটসের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা ‘The Lake Isle of Innisfree’ বাংলা পাঠকের জন্য এক গভীর অনুভূতির জগৎ উন্মোচন করে। যদিও এটি লেখা হয়েছিল ১৮৮৮ সালে, প্রকাশিত হয় কয়েক বছর পর, ১৮৯৩ সালে। এই কবিতাটি ইয়েটসের আত্মিক ও নান্দনিক উপলব্ধির এক নিখুঁত প্রকাশ।
ইয়েটস শহরে বড় হলেও তার হৃদয় টেনেছিল প্রকৃতির দিকে, বিশেষ করে গ্রামীণ জীবনের প্রশান্তি ও নিস্তব্ধতার প্রতি ছিল তার গভীর আকর্ষণ। কবিতাটির মূল প্রেক্ষাপট আয়ারল্যান্ডের কাউন্টি স্লিগো-তে অবস্থিত বাস্তব ‘ইনিশফ্রি’ দ্বীপ, যেখানে ইয়েটস বহুবার ভ্রমণ করেছেন এবং যার প্রতি তার গভীর ভালোবাসা ছিল। ইনিশফ্রি ছিল তার কল্পনার শান্তিপূর্ণ আশ্রয়, যেখানে তিনি প্রকৃতির মাঝে বাস করার এক নিঃশব্দ স্বপ্ন লালন করতেন।
এই কবিতার মধ্য দিয়ে ইয়েটস শুধুই প্রকৃতির সৌন্দর্যকেই নয়, বরং তার অন্তর্জগতের একাকীত্ব, আত্ম-অন্বেষণ এবং শান্তির আকাঙ্ক্ষাকেই ছুঁয়ে যেতে চেয়েছেন।
Bangla Summary of The Lake Isle of Innisfree
উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস রচিত ‘The Lake Isle of Innisfree’ একটি আত্মিক এবং প্রকৃতিনির্ভর কবিতা, যেখানে একজন মানুষের প্রকৃতির সঙ্গে অন্তর্লীন সম্পর্ক এবং শহুরে জীবনের কোলাহল থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। কবিতার বক্তা স্বপ্ন দেখেন এক শান্ত, নিঃসঙ্গ, নির্জন দ্বীপে গিয়ে বসবাস করার, যেটি প্রকৃতিতে পূর্ণ এবং মানসিক প্রশান্তির এক আশ্রয়স্থল।
ইনিশফ্রির প্রতি এই আকর্ষণ নিছক একটি জায়গার প্রতি ভালবাসা নয়, এটি এক ধরনের আদর্শিক স্থান — যেখানে কবি মনে করেন, তিনি প্রকৃত শান্তি ও আত্মার স্বস্তি খুঁজে পাবেন। তিনি সেখানে একটি ছোট কুটির বানিয়ে মধু উৎপাদন করবেন, সবজি চাষ করবেন, আর প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে জীবন কাটাবেন। এই জীবনযাপন হবে একেবারে নিঃসঙ্গ, কিন্তু তা হবে এক প্রশান্তির নিঃসঙ্গতা — যেখানে ব্যস্ততা নেই, নেই মানুষের ভিড়, নেই যান্ত্রিকতার চাপ।
কবিতায় দিনের বিভিন্ন সময়ের কথা বলা হয়েছে — সকালের শিশিরভেজা নিস্তব্ধতা, দিনের কাব্যিক রূপ, সন্ধ্যার রঙিন ছায়া, রাতের জোনাকির আলো এবং শান্ত জলের ঢেউ — প্রতিটি উপাদানই যেন জাদুর মতো জীবন্ত হয়ে উঠে। এই সময়গুলোর বর্ণনা কবিতাটিকে করে তুলেছে এক মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি-চিত্র, যা পাঠকের কল্পনায় ইনিশফ্রিকে এক জাদুকরী দ্বীপে রূপান্তরিত করে।
কবির কাছে প্রকৃতির মাঝে থাকা মানে শুধুমাত্র প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা নয়, বরং প্রকৃতি তার কাছে একমাত্র মাধ্যম, যা তার অন্তরের শান্তি ও মানসিক পরিতৃপ্তি এনে দিতে পারে। কবিতার শেষে এসে বোঝা যায় যে, এই ইনিশফ্রি আসলে একটি কল্পনার স্থান। বাস্তবে কবি শহরের কোলাহল, ব্যস্ততা ও যান্ত্রিক পরিবেশে বসবাস করছেন, যেখানে প্রকৃতির সেই নির্জনতা অনুপস্থিত। ফলে, ইনিশফ্রির প্রতি তার টান এতটাই গভীর যে, দিনের প্রতিটি মুহূর্তে, এমনকি শহরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়ও তিনি অন্তরে সেই স্থানটির আহ্বান অনুভব করেন।
এই কবিতাটি শুধুমাত্র প্রকৃতির গুণগান নয়, এটি এক ধরণের আত্মিক অনুসন্ধানও। ইয়েটস এখানে প্রকৃতিকে শান্তির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি বুঝিয়েছেন যে, প্রকৃতি কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্যের উৎস নয়, বরং তা আমাদের মন ও আত্মার গভীর প্রশান্তির আধার। যান্ত্রিক সভ্যতার মধ্যে থেকেও মানুষ প্রকৃতির প্রতি, নির্জনতার প্রতি, এবং নিজেকে খুঁজে পাওয়ার প্রতি এক প্রবল আকর্ষণ বোধ করে।
সার্বিকভাবে, ‘The Lake Isle of Innisfree’ এক রকমের মানসিক পালানোর কবিতা — যেখানে প্রকৃতি ও নিস্তব্ধতা এক আদর্শ জীবনের রূপরেখা তুলে ধরে। ইয়েটসের এই কবিতা পাঠকের হৃদয়ে এক গভীর প্রশান্তি এনে দেয় এবং মনে করিয়ে দেয়, প্রকৃত শান্তি হয়তো বাইরে কোথাও নয়, বরং আমাদের অন্তরের গভীরে — প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতার মাঝেই লুকিয়ে থাকে।
Literary Devices
- অনুপ্রাস (Alliteration): শব্দের শুরুতে একই ধ্বনির পুনরাবৃত্তি। যেমন — “lake water lapping with low sounds” (তৃতীয় স্তবকের দ্বিতীয় লাইন)। এখানে “l” ধ্বনির পুনরাবৃত্তি তরঙ্গের মৃদু ধ্বনিকে শ্রুতিমধুর করে তোলে।
- পুনরাবৃত্তি (Repetition): “I will arise and go now, and go to Innisfree” — প্রথম স্তবকে “go” শব্দটির পুনরাবৃত্তি কবির দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করে। একইভাবে, “roadway” এবং “grey” শব্দের অন্ত্যমিলের মাধ্যমে ছন্দ সৃষ্টি হয়েছে।
- চিত্রকল্প (Imagery): ইয়েটস পাঠকের ইন্দ্রিয়কে স্পর্শ করার জন্য শব্দ চয়ন করেছেন।
উদাহরণস্বরূপ: “peace comes dropping slow, / Dropping from the veils of the morning to where the cricket sings.” এখানে দৃশ্য, শব্দ ও অনুভূতির একত্রিত ব্যবহারে পাঠক যেন প্রকৃতির গভীরে প্রবেশ করেন।
Themes of the Poem The Lake Isle of Innisfree
প্রকৃতির প্রতি প্রেম ও নির্ভরতা
এই কবিতায় প্রকৃতিকে শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে নয়, বরং আত্মিক প্রশান্তির একমাত্র আশ্রয়স্থল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইয়েটস বিশ্বাস করেন প্রকৃতি নিজেই একটি মূল্যবান বাস্তবতা — এর জন্য মানুষের কোনো হস্তক্ষেপ প্রয়োজন নেই। প্রকৃতি তাকে শান্তি দেয়, তাকে জীবনের গভীরতায় পৌঁছাতে সাহায্য করে। ইনিশফ্রি দ্বীপের নিস্তব্ধ প্রকৃতি কবির জন্য এমন এক স্থান, যেখানে তিনি শহুরে কোলাহল থেকে সরে গিয়ে প্রকৃতির মাঝে আত্মমগ্ন হতে পারেন।
শান্তি ও নিস্তব্ধতার আকাঙ্ক্ষা
এই কবিতার সবচেয়ে শক্তিশালী বার্তাগুলোর একটি হলো শান্তির প্রতি আকর্ষণ। ইনিশফ্রির কল্পিত জীবনচিত্রে কবি যেভাবে দিন-রাতের শান্ত প্রকৃতিকে বর্ণনা করেছেন, তা থেকে স্পষ্ট হয় — তিনি মানসিক প্রশান্তি খুঁজছেন। এই শান্তি শহরের ভিড়, শব্দ, দায়িত্ব ও উদ্বেগের বিপরীতে অবস্থান করে। ইনিশফ্রি যেন এক আত্মিক আশ্রয়, যেখানে জীবন ধীরে, নিঃশব্দে, নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রবাহিত হয়।
আত্মিক সম্পর্ক ও আধ্যাত্মিকতা
ইনিশফ্রি দ্বীপ শুধু একটি ভৌগোলিক স্থান নয়, বরং এটি এক আধ্যাত্মিক প্রতীক। এটি এমন একটি স্থান যেখানে কবি নিজেকে খুঁজে পান, নিজের আত্মার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন। প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়া মানে শুধু বাহ্যিক জগৎ থেকে সরে যাওয়া নয়, বরং নিজের ভেতরের শান্তির জগতে প্রবেশ করা। এই আধ্যাত্মিক অনুভূতি কবির জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে এবং ইনিশফ্রিকে করে তোলে এক চিরকালীন আকাঙ্ক্ষার স্থান।
আধুনিকতার প্রতিকূলতা থেকে অন্তর সরে যাওয়া
ইয়েটস যে পরিবেশ থেকে সরে আসতে চান, তা হল শিল্পায়ন ও শহুরে জীবনের কৃত্রিমতা। ইনিশফ্রি তাঁর জন্য এমন একটি আশ্রয়, যেখানে কোনো দালান, যানবাহনের শব্দ, কিংবা মানুষের কোলাহল নেই। এখানে তিনি একান্তে নিজের সঙ্গে থাকতে পারেন, প্রকৃতির নিরব ভাষা অনুভব করতে পারেন। এই অন্তরসারিত সরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে কবি আধুনিক জীবনের যান্ত্রিকতার পরিবর্তে প্রকৃতির সরলতা ও আত্মিক প্রশান্তিকে বেছে নিচ্ছেন।
Analysis, Stanza by Stanza
স্তবক ১ এর বাংলা বিশ্লেষণ
I will arise and go now, and go to Innisfree,
And a small cabin build there, of clay and wattles made;
Nine bean-rows will I have there, a hive for the honey-bee,
And live alone in the bee-loud glade.
এই স্তবকে কবি তাঁর আকাঙ্ক্ষার কথা সরাসরি পাঠকের সামনে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “আমি এখনই উঠব এবং ইনিশফ্রিতে চলে যাব।” প্রথম লাইনে “go” শব্দটি দু’বার ব্যবহৃত হয়েছে, যা কবির মানসিক দৃঢ়তা ও অটল সিদ্ধান্তের প্রকাশ — তিনি শুধু যেতে চান না, তিনি এখনই সেই যাত্রা শুরু করতে প্রস্তুত। এটি কেবল একটি ইচ্ছা নয়, এক আত্মিক আহ্বান।
দ্বিতীয় লাইনে কবি জানান, ইনিশফ্রিতে পৌঁছে তিনি নিজ হাতে একটি “ছোট” কুটির নির্মাণ করবেন। এখানে “ছোট” শব্দটির ব্যবহার বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এটি বোঝায়, এই কুটিরে তিনি একা থাকবেন — পরিবারবিহীন, সমাজবিহীন, নিঃসঙ্গ অথচ শান্তিপূর্ণ এক জীবন। কুটিরটি মাটির এবং কাঠ ও লতাপাতার (wattles) তৈরি হবে, যা প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করে নির্মাণের ইঙ্গিত দেয় — শহুরে জীবনের কৃত্রিমতা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, এক নির্ভেজাল গ্রামীণ রূপ।
তৃতীয় লাইনে কবি বলেন, তিনি নয়টি শিমবিচির সারি (nine bean-rows) লাগাবেন, যা কৃষিপ্রধান ও স্বনির্ভর জীবনযাপনের প্রতীক। পাশাপাশি থাকবে একটি মৌচাক (hive), যা মধু সংগ্রহের উৎস। এই মৌচাক থেকে বোঝা যায়, কবির কাঙ্ক্ষিত জীবন প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত থাকবে।
চতুর্থ লাইনে বলা হয়েছে, তিনি মৌমাছির গুঞ্জনে পূর্ণ একটি গাছপালা পরিবেষ্টিত খোলা জায়গায় (bee-loud glade) একা বসবাস করবেন। এই লাইনটি প্রকৃতির সজীবতা ও প্রাণচাঞ্চল্যের দ্যোতক — যদিও তিনি ‘একা’ থাকবেন, প্রকৃতির কোলাহল তাকে সঙ্গ দেবে। গাছপালার ফাঁকে ছোট খোলা জায়গা, যেখানে শুধুই মৌমাছির গুঞ্জন শোনা যায় — সেই স্থান যেন এক নিঃসঙ্গতার শান্তিপূর্ণ আশ্রয়।
এই স্তবকটিতে কবির স্বপ্নের জীবনের মৌলিক কাঠামো ফুটে ওঠে — একটি সরল, প্রকৃতি-কেন্দ্রিক, আত্মনির্ভর ও একান্ত জীবনের আকাঙ্ক্ষা। এটি কেবল একটি স্থানভিত্তিক পরিকল্পনা নয়, বরং আধুনিক শহুরে জীবনের গণ্ডির বাইরে আত্মিক প্রশান্তির সন্ধান।
স্তবক ২ এর বাংলা বিশ্লেষণ
And I shall have some peace there, for peace comes dropping slow,
Dropping from the veils of the morning to where the cricket sings;
There midnight’s all a glimmer, and noon a purple glow,
And evening full of the linnet’s wings.
এই স্তবকে কবি ইনিশফ্রিতে যাওয়ার পেছনের মূল কারণটি প্রকাশ করেন — “সেখানে আমি কিছুটা শান্তি পাব।” এই বাক্যে বোঝা যায়, কবি শহুরে জীবনে যে মানসিক অস্থিরতা ও কোলাহলে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তার থেকে মুক্তি পেতে চান। তাঁর কাঙ্ক্ষিত শান্তি আসবে ধীরে ধীরে, যেন সকালবেলার শিশির ফোঁটার মতো “ধীরে ধীরে ঝরে পড়বে” — এই উপমাটি অত্যন্ত কাব্যিক ও সংবেদনশীল।
এখানে ইয়েটস শান্তিকে প্রকৃতির একটি অঙ্গ হিসেবে তুলে ধরেছেন। শান্তি যেন সকালের আবছা কুয়াশা থেকে ধীরে ধীরে মাটির বুকে জমে ওঠে — সেই জায়গা পর্যন্ত, যেখানে ঝিঁঝিঁ পোকার সুর শোনা যায়। এই বাক্যটি শান্তিকে শুধুমাত্র এক মানসিক অবস্থা নয়, বরং প্রকৃতির এক ছায়াসঙ্গী রূপে কল্পনা করে। কবির কাছে প্রকৃতির ভোর, কুয়াশা, শিশির, এবং ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ — এইসবই শান্তির পরিপূর্ণ রূপ।
এরপর কবি ইনিশফ্রির তিনটি ভিন্ন সময়ের চিত্র তুলে ধরেন — মধ্যরাত্রি, মধ্যাহ্ন এবং সন্ধ্যা। প্রতিটি সময় প্রকৃতির একেকটি রূপ, একেকটি অনুভূতি বহন করে।
- “There midnight’s all a glimmer” — অর্থাৎ ইনিশফ্রিতে মধ্যরাত্রি কেবল অন্ধকার নয়, বরং সেখানে এক মায়াবী ঝিলমিল আলো বিরাজ করে। হয়তো এটি তারা, জোনাকি, কিংবা চাঁদের আলো — যা রাতকেও জাগ্রত ও সুন্দর করে তোলে।
- “And noon a purple glow” — দুপুরবেলা সেখানে কেবল উত্তপ্ত নয়, বরং বর্ণিল। “বেগুনি আভা” (purple glow) বলতে বোঝানো হয়েছে আকাশের এক নরম, স্বপ্নময় রঙের ছায়া, যা কবির দৃষ্টিতে শান্তি ও সৌন্দর্যের প্রতীক।
- “And evening full of the linnet’s wings” — সন্ধ্যায় চারপাশ ভরে ওঠে লিনেট নামক এক ধরনের ছোট পাখির পাখার ডানায়। এটি একটি বাদামি ও ধূসর পাখি যার বুক লালচে। পাখির ওড়াউড়ির শব্দ যেন সন্ধ্যার নিঃশব্দ ঘন্টায় এক সজীবতা ও প্রাণবন্ততা এনে দেয়। এটি প্রকৃতির সঙ্গীত, যা কবিকে আত্মিক প্রশান্তি দেয়।
এই স্তবকটি মূলত একটি কল্পিত ও আদর্শ প্রকৃতির চিত্র — যেখানে দিন রাতের প্রতিটি মুহূর্ত কবির হৃদয়কে শান্ত ও পূর্ণ করে তোলে। প্রকৃতি এখানে কেবল দৃশ্য নয়, এক গভীর অনুভবের স্থান, যেখানে কবি নিজের অস্তিত্বকে খুঁজে পেতে চান।
স্তবক ৩ এর বাংলা বিশ্লেষণ
I will arise and go now, for always night and day
I hear lake water lapping with low sounds by the shore;
While I stand on the roadway, or on the pavements grey,
I hear it in the deep heart’s core.
এই স্তবকে কবি আবারও বলেন — “আমি এখনই উঠব এবং যাব”— ঠিক যেমনটি তিনি প্রথম স্তবকে বলেছিলেন। এই পুনরাবৃত্তি পাঠকের মনে এক গভীর প্রতিশ্রুতি বা তীব্র আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটায়। এখানে প্রশ্ন জাগে — কবির এই যাত্রা কি বাস্তব হবে, নাকি এটি কেবল একটি মানসিক কল্পনা, এক স্বপ্নজগৎ? কবির মন বারবার ইনিশফ্রির দিকে টানে, কিন্তু কবিতার এই পর্যায়ে তিনি বাস্তব জগতে ফিরে আসেন।
এরপরের লাইনগুলোতে দেখা যায়, কবির মন থেকে ইনিশফ্রির শব্দ ও দৃশ্যপট কখনোই দূরে যায় না। তিনি বলেন, “রাত্রি ও দিনে আমি শুনি হ্রদের জল কূলের ধারে ধীরে ধীরে ছলাৎছল শব্দে ঢেউ তোলে।” এই শব্দ যেন তার মনের ভিতরে গেঁথে গেছে — সে যেখানেই থাকুক, এই ধ্বনি তার কানে বাজে।
বিশেষ করে যখন কবি পাথরের রাস্তা বা ধূসর ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকেন — অর্থাৎ শহরের কংক্রিট বাস্তবতায়, তখনও তিনি সেই প্রাকৃতিক শব্দ অনুভব করেন। এটি বোঝায়, কবির স্বপ্নজগত ও বাস্তবতার মাঝে এক ক্রমাগত সংঘর্ষ চলছে। প্রকৃতির প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও শান্তির আকাঙ্ক্ষা এত গভীর যে, শহরের ব্যস্ততা আর ধূলিধূসর পরিবেশ থেকেও তিনি মানসিকভাবে মুক্ত হতে পারেন না।
সবচেয়ে হৃদয়স্পর্শী ও কবিতাটির শেষ লাইন — “I hear it in the deep heart’s core.”
এখানে কবি জানান, ইনিশফ্রির দৃশ্য ও শব্দ তিনি কেবল কল্পনায় নয়, বরং হৃদয়ের গভীরে অনুভব করেন। এই ধ্বনি তার চেতনায় নয়, অবচেতন ও আত্মিক অনুভবের গভীরে বাজতে থাকে। এটি আর কেবল স্বপ্ন নয়, এটি তার অস্তিত্বের একটি অংশ হয়ে গেছে।
এই স্তবকে এসে কবিতা একটি বিষণ্ন ও গভীর আবেগপূর্ণ সুরে শেষ হয়। কবির মন প্রতিনিয়ত একটি শান্ত, নিস্তব্ধ, প্রকৃতি-ভিত্তিক জীবনের দিকে আহ্বান জানালেও, তার শরীর শহরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। পাঠকের মনে প্রশ্ন থেকে যায় — কবি সত্যিই কি কখনো ইনিশফ্রিতে যাবেন? নাকি তিনি সেই শহুরে কোলাহলের মধ্যেই রয়ে যাবেন, এক অনাদৃত কল্পনার ভিতর আটকে?
Summary in English (For Writing Answers)
“The Lake Isle of Innisfree” is a lyric poem by William Butler Yeats, written in 1888 and published in 1893. It is one of his most celebrated and symbolic poems, in which the poet expresses a deep longing for peace and harmony found in nature, away from the chaos of urban life. The poem is deeply personal and reflects Yeats’s own desire to escape the industrial modern world and return to a simpler, more spiritual life.
In the poem, the speaker declares his intention to leave his current surroundings and go to the quiet, secluded island of Innisfree, located in County Sligo, Ireland. He plans to live alone in a small cabin made from clay and wattles (woven sticks), grow his own food (specifically nine rows of beans), and keep a beehive for honey. This simple, self-sufficient lifestyle reflects the poet’s ideal of peace and solitude, found only in nature.
Yeats uses vivid imagery to describe different times of the day on the island — the soft morning dew, the glimmer of midnight, the purple glow of noon, and the fluttering wings of linnets in the evening. These natural scenes are portrayed almost magically, and Yeats connects them with a sense of deep spiritual peace. He presents nature not just as beautiful, but as a source of emotional and inner tranquility.
In the final stanza, the poet shifts the tone from dream to reality. Though he is physically standing in the grey pavements and roadways of the city, his heart and soul are deeply connected to Innisfree. He hears the soft sound of lake water lapping against the shore “in the deep heart’s core,” showing that his desire for Innisfree is not just a wish, but a profound need. It represents an escape from the artificial world into a place where his spirit can be free and at peace.
The poem’s strength lies in its use of sensory language, rhythmic softness, and spiritual undertones. Through alliteration, repetition, and strong visual and auditory imagery, Yeats captures the contrast between the mechanical world of the city and the natural beauty of Innisfree. The lake isle becomes a symbol of inner peace, simplicity, and a deeper connection to life.
Key Points for Writing Answers:
- Theme: Nature, peace, spiritual longing, escape from urban life
- Tone: Meditative, peaceful, longing, reflective
- Imagery: Vivid natural images — morning mist, bee sounds, linnet wings
- Structure: Three quatrains (12 lines in total), lyrical and flowing
- Symbolism: Innisfree as a symbol of inner peace and simplicity
- Contrast: Urban life vs. rural solitude
- Personal relevance: Reflects Yeats’s real emotional connection with County Sligo
Follow us on Facebook